গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার তিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন দুই দফা পেছানোর পর ২৮ নভেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রতীকও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চান তাঁরা। এর আগে, হঠাৎ ভোট বন্ধে বর্তমান তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উচ্চ আদালতে রিট করেন। রিটের ছয় মাসের জন্য ভোট স্থগিত করার আদেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সব কর্মকর্তা-কর্মচারী। তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ইভিএমে হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল এই তিন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সাদুল্যাপুর পৌরসভা বাস্তবায়নে জামালপুর, বনগ্রাম, কামারপাড়া ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামকে শহর ঘোষণা করে। সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত দুই দফা দুটি গেজেট প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এরপর এই তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ১২ মে এই তিন ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত করে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালেব বলেন, ‘২৮ নভেম্বর সাদুল্যাপুরের তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ, আমি উচ্চ আদালতের ভোট স্থগিতের আদেশ বা খারিজের কোনো চিঠি পাইনি। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহা মো. সৈকত আলী মানিক সাহা বলেন, ‘যদি রিটের বিষয়টি সত্য হয় তাহলে আমি বলব বর্তমানে তাঁরা সাধারণ জনগণকে ভয় পান। নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁরা জনগণের জন্য কোনো কাজ করেননি। তাই বিনা ভোটে তাঁরা সারা জীবন চেয়ারম্যান, মেম্বার থাকতে চান।’
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ৬ নভেম্বর ছিল। এসব মনোনয়ন বাছাই করছেন ৭ নভেম্বর। আর প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ তারিখ ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সুযোগ দিয়েছিলেন। আর ১৩ নভেম্বর নির্বাচন অফিস থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২৮ নভেম্বর উপজেলার তিন ইউনিয়নে ভোট গ্রহণে নির্বাচন অফিস এরই মধ্যে ভোটার সংখ্যা, কেন্দ্র ও ভোট প্রদানের কক্ষের তালিকা করেছে।
জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৭৩, বনগ্রামে ২৩ হাজার ৯৩০, কামারপাড়ায় ১৮ হাজার ২৪৫। মোট ৬৮ হাজার ২৪৮ জন ভোটার এই তিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।