চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ফটকের সাইনবোর্ডে লাল কালিতে লেখা, হাসপাতালের ভেতরে যেকোনো গাড়ি পার্কিং নিষেধ। এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিষেধজ্ঞা মানে না কেউ। এতে হাসপাতালে ঢুকতে বেগ পেতে হয় রোগীদের। সবসময় ভিড় লেগে থাকে হাসপাতালের সামনে ও ভেতরে।
সরেজনিমে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে ও ভেতরে অবৈধভাবে রাখা হয়েছে মোটরসাইকেল। দেখে মনে হচ্ছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য মোটরসাইকেলগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ভেতরে প্রতিনিয়ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, পা দ্বারাচালিত রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়।
সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলগুলোর বেশির ভাগই বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের। এ ছাড়া সুযোগ পেয়ে হাসপাতালে মোটরসাইকেল পার্কিং করেন স্থানীয় অনেকেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী নিয়ে আসা সুয়াবিল গ্রামের বাসিন্দা সাইফুর রহমান সোহান বলেন, ‘সামনে ও ভেতরে এভাবে গাড়ি রাখায় হাসপাতালে হাসতে কষ্ট হয়। মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. নাবিল চৌধুরী বলেন, ‘নিষেধক্রমে সাইনবোর্ড ও বারবার বারণ করা সত্ত্বেও হাসপাতালে পার্কিং বন্ধ করা যাচ্ছে না। শাস্তি বা জরিমানা করা গেলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসত। এ বিষয়ে ইউএনওকে ব্যবস্থা নিতে কয়েকবার বলেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান বলেন, ‘এ ব্যাপারে কয়েকবার মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’