এবার তিরন্দাজদের ঈদ কাটবে ইরাকযাত্রা মাথায় রেখে। তাঁরা ‘এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং স্টেজ টু’ খেলতে ইরাকে যাবেন ঈদের রাতে অথবা পরদিন। ঈদের দিন দেশে থাকলেও পরিবার-প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ কম তিরন্দাজদের। ক্যাম্পে ঈদের দিনটা কাটবে প্রস্তুতি আর গোছগাছ সারতে সারতেই।
পরিবার ছাড়া ঈদ উদ্যাপনে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন রোমান সানারা। করোনাকালে জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকায় পরিবারের সঙ্গে দেখা করার খুব বেশি সুযোগ পাননি জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা তিরন্দাজরা। গত বছর ছিল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ব্যস্ততা। আর গত তিন বছরে তিরন্দাজরা একবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ পেয়েছেন।
ইরাকে এশিয়া কাপে রিকার্ভে ছেলেদের দলে নাম আছে আবদুর রহমান আলিফের। বিকেএসপির দশম শ্রেণির ছাত্র আলিফ খেলবে কোরিয়ায় বিশ্বকাপ স্টেজ টুতেও। ২০১৮ সালে কিশোর বয়সে ক্যাম্পে আসা এই তিরন্দাজ টানা দ্বিতীয়বারের মতো ঈদ করবে পরিবার থেকে দূরে। ছেলেকে দেখতে ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা ক্যাম্পে আসতে চাইলেও দূরত্বের কথা ভেবে তাদের ‘না’ করে দিয়েছে আলিফ। তরুণ এই তিরন্দাজ বলল, ‘মন তো খারাপ হয়-ই। দেশের জন্য খেলতে পারাটা গর্বের। আর কিছু পেতে হলে কিছু ত্যাগ স্বীকার করতেই হয়।’
মেয়েকে দেখতে ঈদের দিন নীলফামারী থেকে টঙ্গীর ক্যাম্পে আসতে চেয়েছিল দিয়া সিদ্দিকীর পরিবারও। দূরত্বের কথা ভেবে আলিফের মতো পরিবারকে নিষেধ করে দিয়েছেন দিয়াও। পরিবার ছাড়া উৎসব-পার্বণ উদ্যাপন করার অভ্যাস করে ফেলেছেন দিয়া। তাঁর লক্ষ্য একটাই, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে দেশকে দিতে চান পদক। বললেন, ‘মিশ্র দ্বৈতে জোর দেওয়ার চেষ্টা করব। অবশ্যই ইরাকে সোনা জেতা সম্ভব।’