‘ছোটবেলায় গোয়েন্দা হতে চেয়েছিলাম। মাসুদ রানার তিন গোয়েন্দা পড়েই গোয়েন্দা হওয়ার ইচ্ছে জেগেছিল মনে। কিন্তু সব সময় বাবা মায়ের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কাজগুলো দেখে একটা সময় গোয়েন্দা হওয়ার স্বপ্ন বাদ দিই। তখন থেকে স্বপ্ন দেখি বিজ্ঞানী হওয়ারও।’
এভাবেই নিজের বিজ্ঞানী হওয়ার গল্পে শোনালেন অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা। ‘দৃষ্টি’র উদ্যোগে গত রোববার রাতে নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘আড্ডা’ নামে ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সেঁজুতি সাহা বলেন, ‘পরিবারের সহযোগিতা থাকলে বাইরের দেশে পড়াশোনা করতে যাওয়াটা ভালো সিদ্ধান্ত। তবে পড়াশোনা শেষে আবার দেশে ফিরে আসা উচিত। দেশের জন্য কিছু করা প্রয়োজন। কারণ শেকড় ভুলে যাওয়া যাবে না। আমার বাবা-মা যেদিন থিসিস জমা দিয়েছিলেন, এর পরদিন দেশে ফেরত এসেছেন। আমার বাবা-মা সব সময় আমাদের মনে করিয়েছেন বাংলাদেশের ইতিহাস, যার ফলে আমাদের দেশপ্রেম তৈরি হয়েছিল।’
চিলড্রেন রিসার্চ ফাউন্ডেশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সেঁজুতি সাহা বলেন, ‘বাচ্চাদের রোগ কী কী জীবাণু থেকে হয়, সেটা নির্ধারণ করতে পারি না। আমরা জীবাণুগুলো শনাক্ত করার কাজ করছি। পাশাপাশি আমরা শিশুদের যে টিকাগুলো দিচ্ছি, সেই টিকাগুলো কতটুকু কার্যকর সেটা গবেষণা করার চেষ্টা করছি।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইয়ং পাওয়ার ইন স্যোশাল অ্যাকশানের (ইপসা) সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী শাহিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. আদনান মান্নানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে দৃষ্টি চট্টগ্রামের উপদেষ্টা সাফিয়া গাজি রহমান, সভাপতি মাসুদ বকুল, সাধারণ সম্পাদক সাবির শাহাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।