করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে গণটিকা কার্যক্রম চলছে দেশজুড়ে। সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকে চলছে গণটিকা কার্যক্রম। প্রথমে উপজেলা পর্যায়ে শুরু হলেও এখন টিকা কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে বিস্তৃত হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকায়।
এতে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ সহজেই টিকা নিতে পারছেন। প্রথম দিকে টিকা নিতে আগ্রহ কিছুটা কম থাকলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে। এখন তা রীতিমতো আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র আরও জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভাসহ নয়টি ইউনিয়নে ৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। গত ৭ নভেম্বর ও ১০ নভেম্বর দুই ধাপে ৩২টি ক্লিনিকে গণটিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকে প্রাথমিকভাবে ৫০০ ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
সে ক্ষেত্রে ৩২টি ক্লিনিকে ১৬ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিকে টিকা নিয়ে আসা মানুষের উপস্থিতি ও আগ্রহের কারণে তা বেড়েছে। দুই দিন সব মিলে ৩২টি ক্লিনিক থেকে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনার টিকা নিতে মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। কেউই বিনা মূল্যে টিকা গ্রহণের এ সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাচ্ছেন না। তা ছাড়া সহজ উপায়ে ভোগান্তি ছাড়াই টিকা গ্রহণ করতে পারায় অন্যদের মধ্যে আগ্রহও বেড়েছে। উপজেলার প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা নিতে আসা মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের করোনার টিকা নিতে আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গ্রামের নারীরা দল বেঁধে উপস্থিত হয়েছেন, টিকা নেওয়ার জন্য।
পিছিয়ে নেই বয়োবৃদ্ধরাও। তাঁরাও কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে টিকার নিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নারী বলেন, ‘বাড়ির কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা দেওয়া হবে, এমনটা জানতে পেরে কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদন করি। আবেদনের কপি নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে করোনার টিকা নিয়েছি। আমার সঙ্গে বাড়ির অন্য নারীরাও টিকা নিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন শাহনাজ বলেন, ‘গণটিকা কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হয়েছে। সব কটি কমিউনিটি ক্লিনিকে লোকজনের ব্যাপক উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাই নির্ধারিত সংখ্যার চেয়েও অধিক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের টিকাদান কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে গণ টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এ জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’