নাটোরের নলডাঙ্গার হালতি বিলে শ্রমিক সংকট, পাতা মরা রোগসহ নানা সংকটের মধ্য দিয়ে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা দিকে উপজেলার হালতি বিলে পাটুল এলাকায় বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফৌজিয়া ফেরদৌস, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন, এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবং পাতা মরা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বোরো ধানের ফলন কম হচ্ছে। অপরদিকে শ্রমিক সংকটের কথাও বলছেন অনেক কৃষক। ডিজেল, কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের দাম বেশি থাকায় এবার উৎপাদক খরচ গত বছরের চেয়ে এবার বেশি হয়েছে। কোনো দুর্যোগ না হলে সঠিক সময়ে ধান গুলো কেটে ঘরে তোলার আশা করছেন কৃষকেরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার হালতি বিলে অনেক জমিতে বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। তবে প্রতিবছরের মতো এবারও ধান কাটা শ্রমিকের সংকট রয়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য বেশ কিছু ভর্তুকি মূল্যে মারাই যন্ত্র সরবরাহ করেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
পাটুল গ্রামের কৃষক আনিছার বলেন, ধান কাটার শুরুতে অন্য জেলায় শিলা বৃষ্টি হচ্ছে। এ মুহূর্তে পর্যাপ্ত শ্রমিক না পেলে সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে না পারলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন, এক সঙ্গে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ায় কিছুটা শ্রমিকসংকট হতে পারে। এ জন্য প্রতিবছর তাঁরা ভর্তুকিমূল্যে ধান কাটা-মাড়াই করা যন্ত্র কৃষকদের সরবরাহ করা হয়।