করোনা রোগীদের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার জন্য বাজারে যে ওষুধ এসেছে, তা করোনার টিকার বিকল্প নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, একটি অবস্থার আগ পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শমতো এই ওষুধ সেবন করলে করোনা নিরাময়ের হার ৫০ শতাংশ।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল ও সমকালের আয়োজনে ‘ডায়াবেটিস চিকিৎসা: বর্তমান ও আগামী ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা বলেন। সমকালের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরও
বলেন, দেশে করোনার টিকার কোনো ঘাটতি নেই। এই সপ্তাহেই আরও টিকা আনা হবে। এখন পর্যন্ত দেশে চার কোটি মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দীন আহমেদ।
প্রতি ১০ জনে ১ জন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকেরা জানান, কোনো ধরনের উপসর্গ না থাকায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত ৫০ শতাংশ মানুষই জানেন না যে তাঁদের ডায়াবেটিস হয়েছে। যদিও প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। সারা পৃথিবীতে এখন ৫৪ কোটি ডায়াবেটিস রোগী আছেন। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালেই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬৪ কোটি।
অধ্যাপক শারফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ডায়াবেটিস দিবস করা হয়েছে মূলত জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। নিরাময় থেকে প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। এর জন্য দরকার স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম। প্রায় ৫০ ভাগ মানুষ জানেন না যে তাঁর ডায়াবেটিস আছে।