দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের সঙ্গে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জমেছে বেশ। দলের বেশির ভাগ সিদ্ধান্তই যে এই দুইয়ের মস্তিষ্কপ্রসূত, না বললেও চলছে। আর এতেই কি টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন একটু পার্শ্বচরিত্র হয়ে গেছেন?
শ্রীরাম যখন নেটে খেলোয়াড়দের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, সুজনকে সাধারণ দূরেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গত দুই দিনে অ্যাডিলেডের ক্যারেন রোল্টন ওভালে অনুশীলনের সময় তাঁকে শুধু নেট থেকে উড়ে যাওয়া বল কুড়িয়ে নিয়ে আসার ভূমিকায় দেখা গেল। আরও একটি বিষয় একটু ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। এই একটি সফরে বর্তমান দেশের ক্রিকেটের প্রভাবশালী ক্রিকেটব্যক্তিত্ব সুজন আশ্চর্যরকম চুপ হয়ে থাকছেন।
এই সুজনই গত এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে কী এক মন্তব্য করে হইচই ফেলে দিলেন। শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার মন্তব্যের জবাবে তাঁর বলা, ‘আমাদের তবু দুজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, শ্রীলঙ্কার সেটিও নেই’ ছড়িয়ে পড়েছিল মুহূর্তেই।
শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ জেতার পর সুজনকে নিয়ে ট্রল হলো আরও বেশি। বাংলাদেশ দলে তিনি যুক্ত থাকলে কথা বলেন না, এমন ঘটনা আসলে কমই। অথচ সেই তিনি এবার অস্ট্রেলিয়া সফরের শুরুতে ব্রিসবেনে বিমানবন্দরে নেমেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি এবার কথাই বলব না।’
গত দুই সপ্তাহে দলের অনেকেই কথা বললেও সুজন কোনো সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। গতকাল অনুশীলন শেষে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, একেবারে দেশে ফিরেই কি বলবেন? উত্তরে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে সুজন বলছেন, ‘আমার আর বলে কী হবে? আমি কি আর ক্রিকেট বুঝি? ক্রিকেট যাঁরা ভালো বোঝেন, তাঁরা তো টিভি টক শোতে কথা বলছে।’