হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়ের পর এবার চট্টগ্রামের ৮০০ কারাবন্দী পেয়েছেন করোনাভাইরাসের টিকা। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের টিকা দেওয়া হয়। প্রথম ৮০০ বন্দীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অন্য কারাবন্দীদেরও এই টিকা দেওয়া হবে বলে সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে টিকাদান শুরু হয়। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীর সভাপতিত্বে এর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে এর তদারকি করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন কারাগারের ডিআইজি (প্রিজন) একেএম ফজলুল হক।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ৭ হাজার ৮০০ কারাবন্দী আছেন। তাঁদের বাদ দিয়ে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারি না। সরকারের নির্দেশনায় তাঁদের প্রত্যেককে কোভিড-১৯ টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
নির্দিষ্ট কার্ডে নাম, ঠিকানা ও পরিবারের সদস্যের মোবাইল ফোন নম্বর লিখে প্রথম দিন ৮০০ কারাবন্দীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে সকল বন্দীকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দেন তিনি।
হাসান শাহরিয়ার কবীর আরও বলেন, কারাগারে থেকে যে সকল বন্দী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন তাঁদের সেখানেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। আবার যে সকল বন্দী প্রথম ডোজ নেওয়ার পর জামিনে মুক্তি পাবেন, তাঁরা বাইরে কার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান। এ সময় জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম ও কারা হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শামীম রেজা উপস্থিত ছিলেন।