রডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চলমান অবকাঠামো উন্নয়নকাজ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ঠিকাদাররাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে জেলার বিভিন্ন স্থানে চলমান সরকারের উন্নয়নকাজ ব্যাহত হতে পারে। বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত এক মাস ধরে মান ও কোম্পানি ভেদে রডের দাম কেজিতে বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা।
লুনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রাইহানুল ইসলাম লুনা বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ক্রমান্বয়ে রডের দাম বেড়েছে। আনোয়ার গ্রুপের রড ৮০ টাকা, একেএস কোম্পানির ৮২ টাকা ও নোনতাহা কোম্পানির রড় ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে প্রত্যাশিত বিক্রি কমে গেছে। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ঠিকদার প্রতিষ্ঠানগুলো।
জহরুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম নামের দুই ঠিকাদার জানান, উন্নয়নকাজের টেন্ডার শিডিউলে যে দাম ধরা হয়েছিল, তার থেকে বেশ কিছু শতাংশ বেড়ে গেছে। সে অনুযায়ী কাজ করলে স্থানীয় ঠিকাদারদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। রডের দাম বেড়ে যাওয়ায় সব ধরনের উন্নয়নকাজেই এর প্রভাব পড়ছে। দাম না কমা পর্যন্ত কাজ শেষ করতে অপেক্ষা করতে হবে।
আনোয়ার গ্রুপের রাজশাহী জোনের এরিয়া ম্যানেজার সাখওয়াত মজুমদার মানিক জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়েছে। আগের চেয়ে স্ক্রাপের দাম অনেক বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সব কারণে বাজারে রডের দাম বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি।