হোম > ছাপা সংস্করণ

সরিষায় নুয়ে পড়ল চাষির স্বপ্ন

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছিলেন শামীম। গাছে ফলন ভালো ধরেছিল। দু-এক দিনের মধ্যেই সরিষার গাছ কাটবেন। এরপর সরিষা মাড়াইয়ের পর তা বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করবেন।

সেই জমিতে রোপণ করবেন বোরো ধান, এমন স্বপ্ন নিয়েই ‍বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়ে শুক্রবার সকালে উঠে দেখেন তাঁর খেতের সরিষা মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এমন চিত্র দেখে শামীমের স্বপ্নে যেমন গুড়েবালি, তেমনি তাঁর মতো ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার অনেক কৃষকের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে ঝড় ও দমকা হাওয়া। গতকাল শনিবারও থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। কৃষক শামীমের বাড়ি রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধারই এলাকায়। তিনি এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করেছিলেন সরিষা। গতকাল শনিবার দুপুরে কথা হয় শামীমের সঙ্গে। তিনি জানান, সরিষাখেত নষ্ট হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রাণীশংকৈলে বিভিন্ন জাতের পাঁচ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। সরিষা তুলে সেই জমিতে আবার বোরো ধান রোপণ করবেন কৃষকেরা। ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির সরিষা ঝড়ে মাটিতে নুয়ে পড়েছে। তবে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, সমগ্র উপজেলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির সরিষা মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

গত শুক্রবারের হঠাৎ বৃষ্টিতে উপজেলার আট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সরিষাগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। কৃষকেরা বলছেন, যে সরিষার দানা হয়ে পেকে গেছে সেগুলোতে পোকা ধরতে পারে। আর যেগুলোর সরিষা এখনো দানা ধরেনি তবে ধরার উপক্রম, ওইগুলোতে ফলন ভালো হবে না। হলেও পরিমাপে ছোট হবে। কৃষকেরা জানান, সাধারণত বিঘাপ্রতি ৭ থেকে ৮ মণ সরিষা হয়। তবে এ ঝড়ের কারণে তা বিঘায় দুই থেকে তিন মণ কমে যাবে। এতে তাঁদের বিঘাপ্রতি পাঁচ থেকে ৬ হাজার টাকা লোকসান হবে। খুচরা বাজারে সরিষা দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি করতে পারেন কৃষকেরা।

উপজেলার জওগাঁ এলাকার কৃষক তুহিন হাড়িযার ও কবির সন্ধারই সাতঘরিয়া এলাকার ওহেদুল বলেন, স্বল্প সময়ে সরিষা ঘরে তোলার ক্ষেত্রে কৃষকেরা এ ফসলটি আবাদ করেন। তাঁরা একদিকে বোরো ধানের বীজতলা করেন, অন্যদিকে সেই খেতেই সরিষা আবাদ করেন। বোরো ধানের চারা বড় হওয়ার আগেই সরিষা পেকে যায়। তা কেটে ঘরে তুলে সেই খেতেই বোরোর চারা রোপণ করা যায়। তাই যে কৃষকেরা তাঁদের জমিতে বোরো আবাদ করবেন, তাঁরা এই স্বল্পকালীন সরিষা আবাদ করে থাকেন। এই আবাদে খুব বেশি খরচও নেই বলে জানান কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আমরা যত দূর জেনেছি তাতে পুরো উপজেলার ৫০০ হেক্টর জমির সরিষা মাটিতে নুয়ে পড়েছে। সরিষার তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। এখন সরিষাখেতের পানি নিষ্কাশন ও সরিষায় ছত্রাকনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মাটিতে নুয়ে পড়া যে সরিষায় এখনো ফলন আসেনি, ওইগুলোর কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। দানা আকারে ছোট হতে পারে।’ 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ