ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্বাক্ষর নকল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চেষ্টা হয়েছে। এ সময় ব্যর্থ হয়ে পালিয়েছে এক যুবক ও তাঁর সহযোগীরা। গত সোমবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আট ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে। উপজেলার ৮ নম্বর মালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া প্রার্থী হয়েছেন। গত সোমবার এক যুবক তাঁর স্বাক্ষর নকল করে তাঁর পক্ষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সন্দেহ হলে তাঁরা সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে কল করেন। এ সময় মিজানুর রহমান জানান, তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য কাউকে পাঠাননি। তাঁকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন বিভিন্ন পাঁয়তারা করছে। ঘটনা আঁচ করতে পেরে আবেদন করতে আসা ওই যুবক ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন নির্বাচন কার্যালয় থেকে পালিয়ে যান।
উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. বুবুল আহাম্মেদ বলেন, ‘গত সোমবার বিকেলে শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন এক যুবক। বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হলে আমরা ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ফোন দেই। তিনি জানান, তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না এবং তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য কাউকে তিনি পাঠাননি। তখন আমরা ওই যুবক ও তাঁর সহযোগীদের আটকের চেষ্টা করলে তাঁরা নির্বাচন কার্যালয় থেকে পালিয়ে যান।’
প্রার্থী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্তমানে ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। আমার জনপ্রিয়তা দেখে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চেষ্টা চালানো হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’