হোম > ছাপা সংস্করণ

বাড়ছে সাগর কলার আবাদ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বাড়ছে উচ্চফলনশীল জাতের সাগর কলা চাষ। কম খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় কৃষকদের কাছে কলা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কৃষকেরা বলছেন, এখানকার মাটি এবং আবহাওয়া সবজি, বাদাম ও কলা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। উপজেলায় উৎপাদিত কলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

দেবীগঞ্জের প্রায় প্রত্যেক চাষি তাঁদের পতিত জমিতে কলার আবাদ করছেন। অনেকে নদীর চর এলাকায় বড় পরিসরে করেছেন বাগান।

উপজেলার নগরপাড়া গ্রামের জহিরউদ্দীন জানান, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৪০০ কলার চারা রোপণ করা যায়। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে ১১ মাসের মধ্যে পরিপক্ব ফল পাওয়া যায়। ফলন পাওয়া যায় ৩০০ থেকে ৩৩০টি গাছে। রোগবালাইসহ নানা কারণে প্রতিটি গাছ শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না। এ সময়ের মধ্যে সার, কীটনাশক ও পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা।

তিস্তা পাড়ের কৃষক মোবারক আলী বলেন, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় কলার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এক বিঘা জমি থেকে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকার কলা বিক্রি হয়। খরচ বাদে লাভ থাকে ৪০ হাজার টাকার ওপরে।

কালীগঞ্জ এলাকার চাষি শরিফুল ইসলাম এ বছর দুই বিঘা জমিতে কলাগাছ লাগিয়েছেন। সব খরচ বাদ দিয়ে তিনি ৭০ হাজার টাকা আয়ের আশা করছেন।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, পঞ্চগড়ে এবার ৩ হাজার ২০০ একর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। কলার বাগানে শীতকালীন সবজিসহ অন্যান্য সাথি ফসলও চাষ করা যায়। এটি বাড়তি আয়ের পথকে সুগম করে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান জানান, মাল্টা ও ড্রাগনসহ মৌসুমি ফলের সঙ্গে কলার আবাদ জেলার কৃষি অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

প্রতিটি উপজেলাতেই কলার আবাদ করছেন চাষিরা। প্রযুক্তিগত ধারণার পাশাপাশি উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ করে কলার আবাদ সম্প্রসারিত করতে সার্বিক সহায়তা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ