মরমি গীত মানুষের শুদ্ধ পথে চলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সূর্যগিরি আশ্রম কার্যালয়ে লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য বলাই রচিত মাইজভাণ্ডারী গানের বই ‘নিশি অবসানে’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সুফিতত্ত্ব, মরমীবাদ প্রচার-প্রসারে মরমি সংগীতের ভূমিকা অপরিসীম। মরমী সাধকগণ এই সাধনার মাধ্যমে মহান প্রভুর আরাধনা করেন।’
পৃথিবীতে জাগ্রত মানুষের বিবেককে অশুভ শক্তি সব সময় দংশন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অশুভ শক্তি থেকে মুক্তির জন্য মরমী সাধনার সংগীত শুনে মানুষের হৃদয় পবিত্র হয়। সে ক্ষেত্রে মরমি সাধকগণ কালজয়ী ভূমিকা পালন করেন।’ এ সময় তিনি সুফিবাদ ও মাইজভাণ্ডারি সাধনায় লিপ্ত লেখকগণকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রকাশনা উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, শিক্ষক মাওলানা হাফেজ আবুল কালাম প্রমুখ।