বয়সের ভারে ন্যুব্জ তিনি। কাজ করছে না শরীরের কোনো কোনো অঙ্গ। এ অবস্থায় স্বজনদের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তাঁদের কাছে পাচ্ছেন না অশীতিপর আনোয়ারা বেগম । এই বৃদ্ধা মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের তথ্যসেবা ও সাহায্য দেওয়া হতো যে কামরায়, সেখানে দিন কাটাচ্ছেন। আনোয়ারা বেগমের দেওয়া তথ্যমতে, তিনি সফিপুর ইউনিয়নের চরপদ্মা গ্রামের মৃত আব্দুল ছত্তার খানের স্ত্রী। ছেলে হানিফ খান ও ছেলের বউ ফেলে রেখে গেছেন।
মুলাদীর পাতারচর গ্রামের কাজী সোলায়মান বলেন, ‘রোববার সকাল ১০টার দিকে খেজুরতলা বাজারে যাচ্ছিলাম। বাজারের মসজিদের পাশে এক বৃদ্ধ মহিলাকে শুয়ে থাকতে দেখে সেখানে যাই। তিনি জানান, ছেলে ও ছেলের বউ ফেলে রেখে গেছেন। উপায়ান্তর না দেখে মুলাদী থানার ওসিকে জানাই। তিনি বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে চরপদ্মায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃদ্ধার ছেলে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। এখন কোথায় থাকেন কেউ জানে না।
মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুর রহমান জানান, অশীতিপর আনোয়ারা বেগমের এক হাত ও এক পা অচল। তাঁকে সাময়িকভাবে করোনা সহায়তা কক্ষে রাখা হয়েছে। তাঁকে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, তাঁর স্বজনদের খোঁজ করা হচ্ছে।