হোম > ছাপা সংস্করণ

বায়োস্কোপ

সম্পাদকীয়

সুকুমার রায় আর তাঁর ভাই সুবিনয় রায় ভর্তি হয়েছিলেন সিটি স্কুলে। সেখানে এক শিক্ষক ছিলেন, যিনি ‘পাগলা মাস্টার’ নামে পরিচিত। চেহারা ছিল বিভীষণের মতো, কিন্তু আদতে তিনি ছিলেন একেবারে মাটির মানুষ।

স্কুলটা ছিল চারতলা। একবার রেগেমেগে এক ছাত্রকে মারতে গেলেন। ছাত্রটি দরজা খোলা পেয়ে দে ছুট। সিঁড়ি দিয়ে এক দিকের চারতলায় উঠে আরেক দিকের সিঁড়ি দিয়ে নামছে ছেলেটা। দুমদাম শব্দ করতে করতে মাস্টার মশাইও পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছেন! এ ছেলেকে কী ধরা যায়! তারপরও যখন ছেলেটাকে ঝুঁটি ধরে ক্লাসে হাজির করলেন তিনি, তখন ছেলেটা সগর্বে বলছে, ‘আমি নিজেই ধরা দিয়েছি, স্যার আমাকে ধরতে পারেননি!’

মাস্টার মশাইও হেসে ছেলেটিকে ছেড়ে দিয়েছেন।

আরেকবার পরীক্ষার হলে পাগলা মাস্টার দেখতে পেলেন এক ছেলে লিখতে গিয়ে বারবার এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে আর মাথা নিচু করে কী যেন দেখছে। নকল করছে নাকি—সন্দেহ হলো মাস্টার মশাইয়ের। তিনি কাছে গিয়ে বললেন, ‘পকেটে কী আছে, দেখি!’

ছেলেটা কিছুতেই দেখাবে না। জোর করে পকেট থেকে জিনিসটা বার করতেই স্যারের শরীরে ছড়িয়ে পড়ল শালপাতায় থাকা রসগোল্লার রস! বেচারা টিফিন খেতে পারেনি বলে পরম আদরে তা পকেটে রেখেছিল।

আরেকজন সেকেলে ধরনের শিক্ষক ছিলেন। তিনি একদিন ক্লাসে বলছিলেন বায়োস্কোপ দেখার অপকারিতার কথা। সুকুমারকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে বললেন। সুকুমার বললেন, ‘বায়োস্কোপ বেশি দেখলে কিংবা বাজে বাজে ছবি দেখলে অনিষ্ট হয়। কিন্তু ভালো ছবি আছে, সেগুলো দেখলে উপকারই হয়।’

সন্তুষ্ট হতে পারলেন না শিক্ষক। তখন সুকুমার বললেন, ‘স্যার, আপনি কি বায়োস্কোপ দেখেছেন?’ ‘না।’

‘আমি আপনাকে একটা ভালো ছবি দেখাব, যাবেন?’

তাঁরা ‘লা মিজারেবল’ ছবিটা দেখতে গেলেন। শিক্ষক পরে সুকুমারকে বললেন, ‘তুমি আমার মস্ত বড় এক ভুল ভাঙিয়ে দিলে।’

সূত্র: পূণ্যলতা চক্রবর্তী, ছেলেবেলার দিনগুলি, পৃষ্ঠা ১২৭-১৩০

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ