মুলাদীতে আবারও বেড়েছে জয়ন্তী নদীর ভাঙন। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মৃধারহাটের ১২টি দোকান জয়ন্তী নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
অব্যাহত ভাঙনে নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে মৃধারহাট বাজার ও আশপাশের সড়ক। হুমকির মুখে পড়েছে মৃধারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একই সঙ্গে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে মৃধারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম সরদার ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেন।
নদীর পানি কমতে শুরু করায় ভাঙন বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত বছর মৃধারহাটের বেশ কয়েকটি দোকান নদীতে ভেঙে নিয়েছিল। গত মঙ্গলবার রাতে মোশাররফ সরদারের ২টি, দেলোয়ার হোসেন খানের ২টি, কালাম জমাদারের ১টি, জয়নাল আবেদীনের ১টি, শাহীন মাতুব্বরের ১টি, সোহান মল্লিকের ১ টিসহ মোট ১২টি দোকান নদীতে ভেঙে যায়। এতে হাটের শতাধিক ব্যবসায়ীর মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর এভাবে ভাঙতে থাকলে হাটের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম সরদার বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়রা জমি দিলে দ্রুত সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া মৃধারহাটে ভাঙন রোধে বরিশাল–৩ আসনের সাংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপু ডিও লেটার দিয়েছেন।’
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, এ বিষয়ে ঢাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। প্রধান কার্যালয় থেকে আদেশ ও বরাদ্দ পেলে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।