কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দিন যত যাচ্ছে ততই টিকা নিতে আগ্রহ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। প্রতিদিনই টিকা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা কেন্দ্রে ভিড় করছে হাজারো নারী-পুরুষ। এতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দায়িত্বরতদের হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টিকা নিয়ে তবেই বাড়িতে ফিরছেন গ্রহীতারা টিকাকেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দায়িত্বরতদের হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হাসপাতাল গেট থেকেই মুখে মাস্ক না পড়লে প্রবেশ করতে যেমন দেওয়া হচ্ছে না, তেমনি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে হচ্ছে শৃঙ্খলা মেনে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে প্রবেশমুখের গেট থেকে নারী ও পুরুষের দুটি পৃথক লম্বা সারিবদ্ধ লাইন। যদিও জায়গা স্বল্পতায় কারণে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে ও টিকা গ্রহীতারা জানান, রেজিস্ট্রেশনের পর যাদের মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে, শুধু তাঁদেরই টিকা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুক্রবার বাদে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
টিকা গ্রহীতা মিনতি রানি বলেন, ‘বাড়ির আশপাশে প্রায় সবারই টিকা নেওয়া হয়ে গেছে। পরিবারের মধ্যে আমার নেওয়া বাদ ছিল। রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম মোবাইলে খুদে বার্তা পেয়ে টিকা নিতে এসেছি। এসে দেখি ভীষণ ভিড়। দেরি হলেও টিকা নিয়ে তবেই বাড়ি ফিরব।’
বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নাতিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে আমি এখানে বসে আছি। পায়ে সমস্যা বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। সবাইকে নিয়ম মেনে এখানে টিকা নিতে হচ্ছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমিন জানান, আগে এমন ভিড় ও মানুষের টিকা নিতে আগ্রহী হতে দেখেনি। মানুষ দিন দিন সচেতন হচ্ছেন। টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করে সময়মতো টিকা নিতে কেন্দ্রে আসছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা খুদেবার্তা দেখাতে পারছে তাঁদেরই শুধু টিকা দেওয়া হচ্ছে। ভিড় হলেও গ্রহীতারা ধৈর্য ধরে টিকা নিয়ে তবেই বাড়ি ফিরছে। এ পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ৯০ হাজার টিকা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।