সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় হঠাৎ করে বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ধানের চারা রোপনের কিছুদিন পরেই এমন রোগ দেখা দেওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা বলছেন, ব্লাস্ট রোগের কারণে গাছ শুকিয়ে যাওয়ায় ধানের উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। কিন্তু ব্লাস্ট রোগের আক্রমনে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক ধানখেত ঘুরে দেখা গেছে, ব্রি-২৮ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ বেশি হয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত খেতের ধান গাছ শুকিয়ে হলুদ হয়ে গেছে।
পাটকেলঘাটার কুমিরা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের সাধন দাস ২ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। জমি চাষ, বীজ, সার, সেচ, কীটনাশক ও শ্রমিকদের মজুরি বাবদ খরচ বিঘাপ্রতি খরচ করেছেন প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। দুই বিঘায় ১০ হাজার টাকা খরচ হলেও ১০ হাজার টাকার ধান পাবেন না বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি।
বালিয়াদহ গ্রামের মিজানুর রহমান, কুমিরা গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগের কোনো পরামর্শই কাজে লাগছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান, ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এ বছর ধান রোপনের কিছুদিনের মধ্যে ব্রি-২৮ জাতের ধানে এ রোগ বেশি দেখা যাচ্ছে। এ রোগ প্রতিরোধে ধানখেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে, জমিতে পানি ধরে রাখা ও কখনো জমিতে ইউরিয়া ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।