হোম > ছাপা সংস্করণ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক

সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনে একসময় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও যুক্ত হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে প্রথমে সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে শিক্ষার্থীরা আরও মারমুখী অবস্থায় চলে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ বাহিনী অ্যাকশন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে ১৬ জুলাই ইউজিসি দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার পর প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এতে দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ নিয়ে বুধবার আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কার্যত বন্ধ দীর্ঘদিন ধরেই। পেনশন স্কিম নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন করছিলেন।

এর আগে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের কারণে। এর প্রভাবে ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা ১৭ মাস বন্ধ ছিল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একপর্যায়ে অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হলেও তা দিয়ে সব শিক্ষার্থী উপকৃত হতে পারেনি। বার্ষিক পরীক্ষা ছাড়াই অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। এমনকি কোনো রকম পরীক্ষা না নিয়েই এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হয়, যা ‘অটো পাস’ নামে পরিচিত। এসব কারণে প্রতিটি স্তরেই শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি রয়ে যায়। মহামারির পর এই ঘাটতি পূরণে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়াসহ নানা পদক্ষেপের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তবে গত তিন বছরে একের পর এক সংকটের ধাক্কা পড়েছে দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থায়।

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়েই ভোগান্তিতে পড়েছে। গত বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের টানা অবরোধের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ বছরের শুরুতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, তাপপ্রবাহের কারণে অনেক দিন পাঠদান বন্ধ ছিল। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কারণে বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখতে হয়েছিল।

আমরা জানি, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এতে বড় একটা সেশনজটের মুখে পড়েছিল পুরো শিক্ষাব্যবস্থা, যা এরশাদ ভ্যাকেশন নামে পরিচিতি পেয়েছিল।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাঙ্গন বন্ধ রয়েছে, যার ক্ষতির প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে। এই দীর্ঘ বন্ধে সেশনজট তৈরি হবে। যদিও ৪ আগস্ট থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলে দেওয়া হবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। দীর্ঘ এই বন্ধে যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষার বারোটা বাজবে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

আমরা আশা করব, সরকার এরশাদ ভ্যাকেশনের মতো অবস্থা তৈরি না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ