নওগাঁর পত্নীতলায় দিবর ছিদ্দিকনগর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতি ছাড়াই নিজেদের স্বার্থে গোপনভাবে পরিচালনা কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অর্ধশত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক স্বাক্ষরিত এক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিটন সরকার।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পর দিবর ধোয়াপাড়া গ্রামের রেজোয়ান হোসেনকে প্রধান করে ছয় মাস মেয়াদি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিন মাসের মধ্যেই অভিভাবকদের উপস্থিতি ছাড়াই গোপনে ১৩ জানুয়ারি মাদ্রাসার সুপার আশিকুর রহমান ও আহ্বায়ক কমিটির প্রধান রেজোয়ান হোসেন আন্টু নিজেকে সভাপতি ও সদস্যসচিব ঘোষণা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে। পরে তা অনুমোদনের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠায়।
এ ব্যাপারে সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিন বলেন, অভিযোগের পুরো বিষয়টি সত্য। গোপনে অনিয়ম করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব অভিভাবকের উপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের দাবিও করেন তিনি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার আশিকুর রহমানের বলেন, ‘আমি সহ-সুপার থাকা অবস্থায় সুপারিনটেন্ট অবসর নেওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব নিই এবং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীকালে সবার উপস্থিতিতে এবং সর্বসম্মতিক্রমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান সভাপতি রেজোয়ান হোসেন আন্টু বলেন, সবার সম্মতিক্রমে তাঁকে আহ্বায়ক এবং পরবর্তী তিন মাস পর উপস্থিত সবার সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এখানে গোপনীয়তার কোনো বিষয় নেই। বর্তমান কমিটির বৈধতা পুরোপুরি সঠিক আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসহাক হোসেন বলেন, মাদ্রাসাগুলো দেখভাল করেন একাডেমিক সুপারভাইজার। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের দায়ভার তাঁর ওপরে পড়েছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে সঠিক তদন্ত করা হবে।
পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন সরকার বলেন, গত বুধবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি জানতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।