পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গত শুক্রবারের হঠাৎ ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অর্ধশত বসতঘর ভেঙে গেছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে। দুদিন ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে কয়েক গ্রাম। উপজেলার বড় মাছুয়া, বেতমোর রাজপাড়া, সাপলেজা, আমড়াগাছিয়া, মঠবাড়িয়া সদর ও ধানীসাফা ইউনিয়নে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব রাজপাড়া গ্রামের বাদল হাওলাদার ও বেল্লাল হাওলাদারের বসতঘরে গাছ পড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ সময় দুজন আহত হয়েছেন। বড় মাছুয়া ইউনিয়নের উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের ছবুর ব্যাপারীর বসতঘর, জামাল আকনের বসতঘর, মোটরসাইকেলচালক নুরুল আমীনের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের উত্তর মিঠাখালী গ্রামের দিনমজুর আ. সালাম, কৃষক কাঞ্চন ফরাজী, দিনমজুর মামুন মোল্লা, ইউসুফ গাজী, নয়া মিস্ত্রি, দিনমজুর নিয়াজ ফরাজীর বসতঘর গাছের চাপা পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের খোদেজা বেগমের গোয়ালঘর চাপা পড়ে একটি গরু মারা গেছে। সাফা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাতাকাটা গ্রামের নুর আলমের বসতঘরটি ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে পাশে ফেলে দেয়। এ ছাড়া ঝড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পূর্ব রাজপাড়া গ্রামের বাদল হাওলাদার বলেন, ‘আমার ঘরে নারী ও শিশুসহ ৯ জন লোক ছিল। গত শুক্রবার আড়াইটার দিকে আকস্মিক ঝড়ের কারণে পাশের চম্বল গাছ ভেঙে পড়ে পুরো ঘরটি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা কোনো ভাবে হামাগুড়ি দিয়ে বের হতে পেরেছি। আমাদের রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। অন্যের ঘরে বসবাস করছি।’
মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছগির হাওলাদার বলেন, আমার এলাকায় বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল শনিবার দিনভর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে জমা দিতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আনুমানিক দেড় কোটি টাকার ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে।