পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে ২০ মিনিট দেরি হওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি এসএসসি পরীক্ষার্থী সামিয়া সুলতানা শান্তা। জেলার চৌমুহনীর গণিপুর পাইলট গার্লস স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় সে।
গত মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সামিয়া সুলতানা শান্তার রসায়ন পরীক্ষা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে তার ২০ মিনিট দেরি হয়। এ কারণে কেন্দ্র সচিব তাকে পরীক্ষা দিতে দেননি।
সামিয়া সুলতানা শান্তার মা রাবেয়া সুলতানা বলেন, তাঁর মেয়ে শান্তা মেধাবী ছাত্রী। কয়েক দিন ধরে সে অসুস্থ। রসায়ন পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে সে বমি করে। তাতে তার পরনের কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। বাসায় ফিরে কাপড় পাল্টে সে পরীক্ষা কেন্দ্রে যায়। তাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে তার ২০ মিনিট দেরি হয়ে যায়।
রাবেয়া সুলতানা আরও বলেন, কেন্দ্রে ঢোকার পর তাকে কেন্দ্র সচিব আবদুল মান্নানের কাছে পাঠানো হয়। কেন্দ্র সচিব তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। তাকে একবার নিচতলায় আরেকবার দ্বিতীয় তলায় যেতে বলেন। এভাবে আরও ২০-২৫ মিনিট সময় নষ্ট হয়। শেষে বলা হয়, তার পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরীক্ষা দিতে না পেরে এ সময় শান্তা কান্নাকাটি করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
বিষয়টি গণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি গোলাম ফারুক ভূঁইয়াকে জানানো হয়। তাঁরা অনুরোধ করলেও কেন্দ্র সচিব শান্তার পরীক্ষা নিতে রাজি হননি।
সামিয়া সুলতানা শান্তার দাবি, বিকল্প উপায়ে যেন তার রসায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। নইলে শিক্ষাজীবন থেকে একটি বছর চলে যাবে।
কেন্দ্র সচিব আবদুল মান্নান দাবি করেন, ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর ৫০ মিনিট পর কেন্দ্রে আসে। যে কারণে তার পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সালা উদ্দিন বলেন, দেরি করে কেন্দ্রে আসায় ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেননি কেন্দ্র সচিব। তার পরীক্ষার বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।