হোম > ছাপা সংস্করণ

সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র

আতাউর রহমান সায়েম

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের ‘কুলি-মজুর’ কবিতা থেকে ‘নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর’ নিয়ে আলোচনা করব।

কুলি-মজুর

কাজী নজরুল ইসলাম

নমুনা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

১। রক্ত চুষি গরিবের

ধনী মালিক সম্পদের

শোষণের শিকার তারা

সমাজে গরিব যারা

ধনীদের অর্থ সঞ্চিত গরিব দুঃখী বঞ্চিত।

ক. ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত? ১

খ. কবির চোখ ফেটে জল এল কেন? ২

গ. উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩

ঘ. উদ্দীপকের মূল-উপজীব্যই যেন ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূল-উপজীব্য–মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪

১ (ক) উত্তর :

‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত।

১ (খ) উত্তর :

বাবুসাব কুলিকে ঠেলে নিচে ফেলে দেওয়ার দৃশ্য দেখে কবির চোখ ফেটে জল এল।

একদিন রেলস্টেশনে এক বাবুসাব এক কুলিকে ঠেলে নিচে ফেলে দিল। কুলি-মজুররা দুর্বল বলে তাদের ওপর ধনীরা অত্যাচার করে। জগৎজুড়ে সব সময় দুর্বলরা মার খেয়ে আসছে। স্টেশনে বাবুসাব কুলিকে ঠেলে নিচে ফেলে দিলে কবির চোখ ফেটে জল এল।

১ (গ) উত্তর:

উদ্দীপকের সঙ্গে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মেহনতি মানুষেরই আজ ধনীদের দ্বারা শোষণের শিকারের দিক দিয়ে সাদৃশ্য আছে।

‘কুলি-মজুর’ কবিতায় দেখি শ্রমিকেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে। কিন্তু তাদের ওপর ধনীরা নানা দিক থেকে অত্যাচার করে। তারা দুর্বল বলে সব সময় তারা মার খায়। শ্রমজীবী মানুষকে শোষণ করে ধনিকশ্রেণি সম্পদের মালিক হয়েছে। অথচ কুলি-মজুরেরাই যুগ যুগ ধরে সমাজে সবচেয়ে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত।

উদ্দীপকেও দেখা যায়, গরিবের রক্ত চুষে ধনিকশ্রেণি সম্পদের মালিক হচ্ছে। সমাজে গরিবেরা সব সময় বঞ্চিত। ধনীদের শোষণের শিকার গরিবেরা। অথচ মানবসভ্যতার বিকাশে শ্রমজীবীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাদের অক্লান্ত শ্রমেই টিকে আছে সভ্যতা। অথচ সেই মেহনতি মানুষেরাই আজ নির্যাতিত-অবহেলিত। তাই বলা যায় যে শোষণের শিকারের দিক দিয়ে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘কুলি-মজুর’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।

১ (ঘ) উত্তর:

উদ্দীপকের মূল-উপজীব্যই যেন ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূল উপজীব্য–মন্তব্যটি যথার্থ। কারণ উভয় জায়গাতেই মেহনতি মানুষেরাই আজ ধনীদের দ্বারা শোষণের শিকার হচ্ছে।

‘কুলি-মজুর’ কবিতায় দেখি কুলি-মজুরেরাই সব পরিশ্রম করে আসছে। অথচ সমাজে তারা যুগ যুগ ধরে বঞ্চিত, অবহেলিত ও উপেক্ষিত। কবিতায় কবি গরিব শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে আলোচনা করেছেন। কুলি-মজুরের মতো লক্ষকোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতেই মানবসভ্যতা গড়ে উঠছে। তাদের পরিশ্রমের বদলে দালানকোঠা, কলকারখানা, রেলগাড়ি, জাহাজ, মোটর চলছে। অথচ তারাই গরিব, তারাই ধনীদের শোষণের শিকার।

উদ্দীপক বিশ্লেষণ করলেও দেখতে পাই এমন শোষণের কথা। আমরা সমাজে দেখতে পাই যে, গরিব শ্রমজীবীদের রক্ত চুষে ধনীরা সম্পদের মালিক হয়েছে। অথচ তারাই সমাজের সবচেয়ে বঞ্চিত মানুষ। ধনীদের সমাজে যারা গরিব তারা শোষণের শিকার। তাদের ওপর যত নির্যাতন, অত্যাচার। গরিবদেরও বঞ্চিত করেই ধনীরা অর্থ সঞ্চয় করে।

উপরিউক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, কুলি-মজুরের মতো লক্ষকোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতেই মানবসভ্যতা গড়ে উঠছে। অথচ তারাই গরিব, তারাই ধনীদের শোষণের শিকার হচ্ছে। অপরদিকে গরিবদের বঞ্চিত করে ধনীরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে। আর এমন কথাই উদ্দীপক ও ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূলভাবে ফুটে উঠেছে। তাই উদ্দীপকের মূল-উপজীব্যই যেন ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মূল-উপজীব্য–মন্তব্যটি যথার্থ।

লেখক: সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মতিঝিল, ঢাকা।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ