চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১০ নম্বর বাতিসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জি এম জাহিদ হোসেন টিপু ইউপি কার্যালয়ের চেয়ারম্যানের বসার চেয়ারটি নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য আক্ষেপ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী ফখরুল আলম ফরহাদ। এরপর পাল্টা মন্তব্য করে পোস্ট দিয়েছেন জি এম জাহিদ হোসেন টিপু।
চতুর্থ ধাপে উপজেলার ১০ নম্বর বাতিসা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান কাজী ফখরুল আলম ফরহাদ। মনোনয়নবঞ্চিত হন সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জি এম জাহিদ হোসেন টিপু।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাবেক চেয়ারম্যান জি এম জাহিদ হোসেন টিপুর শেষ কার্যদিবস ছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী ফখরুল আলম ফরহাদ দায়িত্ব বুঝে নেন। এর আগে শেষ কর্মদিবসে জাহিদ ইউপি কার্যালয়ে তাঁর বসার চেয়ার বাসায় নিয়ে যান।
দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরে চেয়ারটির ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফরহাদ।
এ বিষয়ে ফরহাদ ৭ মার্চ রাতে তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘চেয়ারটুকুও পেলাম না। ভগ্ন ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পেলাম পরিষদ।’
কয়েক ঘণ্টা পরে সাবেক চেয়ারম্যান জি এম জাহিদ হোসেন টিপু তাঁর ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেন, ‘২০১১ সালে চেয়ারম্যান হই, তখনো আমি অফিসের চেয়ারম্যানের চেয়ারটি পাইনি। সাবেক চেয়ারম্যান স্মৃতি হিসেবে তা নিয়ে গেছেন। পরে শখ করে আমি চেয়ারটি বানিয়েছিলাম। কারিগরকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি। ১১ বছরের কর্মময় জীবনকে স্মৃতিময় করে রাখতে ড্রয়িংরুমের এক কোণে চেয়ারটি সাজিয়ে রেখেছি।’ এই স্ট্যাটাসে তিনি কেন্দ্র দখল করে বর্তমান চেয়ারম্যানকে পাস করতে সাহায্য করা হয়েছে বলে দাবি করেন।
দুই নেতার বিভেদের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান বলেন, ‘যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক চেয়ারম্যানের লেখাটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী। স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে কথা বলব।’