হোম > ছাপা সংস্করণ

চমক দেখাবে আ.লীগ!

খান রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলা পরিষদ নির্বাচনে বরিশালে এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বরিশালের পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এঁদের অনেকেই আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতা। নানাভাবে তদবির-লবিং করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এবার স্থানীয় পর্যায়ে নাম প্রস্তাবের ক্ষমতা খর্ব হওয়ায় স্বপ্ন দেখছেন ত্যাগী নেতারা। এ সুযোগে বরিশালে জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে চমক আসতে পারে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।

নৌকা প্রতীক পেতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মো. আনোয়ার হোসাইন, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা খান আলতাফ হোসেন ভুলু, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মইদুল ইসলাম এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হেসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের হাতে কোনো ক্ষমতাই রাখেনি কেন্দ্র। যে কারণে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন গ্রহণ করেছে দলটি। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, বিগত সময়ে স্থানীয়ভাবে নাম প্রস্তাব নিয়ে বিভিন্ন জেলা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এবার বড় সুযোগ ত্যাগীদের। সভাপতি নিজেই আমলনামা দেখে মনোনয়ন দেবেন।’

নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিএম কলেজের সাবেক ভিপি আনোয়ার হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সভাপতি ও মনোনয়ন বোর্ড যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেবেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাঁর পক্ষে সবাই কাজ করবে।’ অনেকটা আবেগতাড়িত হয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে লড়াই করেছি। একটু সম্মান পেতে তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান, একবার জেলা পরিষদ ও সংসদ সদস্যপদে মনোনয়ন চেয়েছি। আরও একবার চেষ্টা করছি মূল্যায়নের আশায়।’

মনোনয়নপ্রত্যাশী কৃষক লীগ নেতা খান আলতাফ হোসেন ভুলু বলেন, তিনি ৬ দফা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জেল খেটেছেন। এমন ইতিহাস কারোরই নেই।’

মনোনয়নপ্রত্যাশী বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করব। না পেলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাঁর পক্ষে কাজ করব।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘স্থানীয় ইমেজ আছে এমন প্রার্থী জেলা পরিষদে খুঁজছে দল। কেননা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ বিষয়েও প্রভাব রয়েছে। যে কারণে বরিশাল জেলা পরিষদে নৌকার টিকিটে প্রার্থিতায় আসতে পারে’—চমক এমনটিই জানালেন কেন্দ্রীয় ওই আওয়ামী লীগ নেতা।

উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনে নৌকা 
ছাড়া দৃশ্যমান আর কোনো দলের প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতারা দলীয় সমর্থন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ