হোম > ছাপা সংস্করণ

টার্মিনাল ফাঁকা, সড়কে দীর্ঘ জট

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানজট নিত্যদিনের। মহাসড়কে অপেক্ষায় থাকে শত শত যানবাহন। অথচ দৌলতদিয়া ঘাটে দুটি ট্রাক টার্মিনাল রয়েছে। যা থাকছে ফাঁকা। এতে ট্রাকগুলো রাখা হলে কমত ভোগান্তি। নির্মিত টার্মিনালের একটিতে মাছ ও সবজির বাজার বসে। অন্যটিতে জেলার অভ্যন্তরীণ পথে চলাচলরত কিছু বাস রাখা হয়। ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, টার্মিনালটি পেছনের দিকে হওয়ায় সেখানে গাড়ি রাখলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। আনলোডের গাড়ি আটকে গিয়ে অনেক সময় জট লেগে যায়। এরপরও মাঝে মধ্যে গাড়ি রাখা হয়।

এদিকে দৌলতদিয়ায় দিনের পর দিন মহাসড়কে আটকে থাকছে পণ্যবাহী ট্রাক। এসব ট্রাক দুই-তিন দিনেও ফেরির নাগাল পাচ্ছে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালক ও সহকারীদের। ট্রাকচালকেরা জানান, আশপাশে খাবার হোটেল, গোসল ও টয়লেটের ব্যবস্থাও নেই।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটে নির্মিত দুটি টার্মিনালে একসঙ্গে ৫০০টি ট্রাক রাখা সম্ভব।

সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের টার্মিনালগুলো সম্পূর্ণ ফাঁকা। এ সুযোগে টার্মিনাল ঘিরে শত শত অবৈধ দোকান বসানো রয়েছে। কিন্তু টার্মিনালে কোনো ট্রাক দেখা যায়নি। ফেরি পার হওয়ায় ট্রাকগুলো টার্মিনালে না থাকায় মহাসড়কে লেগে আছে যানজট।

টার্মিনাল ব্যবহার না করে মহাসড়কে গাড়ি রেখে যানজট তৈরির বিষয়ে গত ১৫ নভেম্বর উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়। এ সময় কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দৌলতদিয়া মুক্তি মহিলা সমিতির কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘাটে দুটি বড় বড় টার্মিনাল রয়েছে। টার্মিনালে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি রাখা হয় না। অথচ রাত-দিন সড়কে পণ্যবাহী গাড়ির লম্বা লাইন। এসব গাড়ি টার্মিনালে রেখে সিরিয়ালভাবে টিকিট দিলে সড়কে কোনো যানজট হয় না। অথচ কার স্বার্থে টার্মিনাল ফাঁকা রেখে গাড়ি মহাসড়কে লাইন ধরে রাখা হচ্ছে বিষয়টি জানা দরকার।’

সভায় উপস্থিত বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক জামাল হোসাইন বলেন, ‘টার্মিনাল দুটি বিআইডব্লিউটিএ পরিচালনা করে। কী জন্য টার্মিনাল ফাঁকা রাখা হচ্ছে, তারা ভালো বলতে পারবে। গাড়ির সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণ করে ট্রাফিক পুলিশ। কেন টার্মিনালে গাড়ি রাখে না, এ ব্যাপারেও তারা বলতে পারবে।’

টার্মিনালে বাজার বসানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে দৌলতদিয়া বাজার পরিষদের সভাপতি মো. মোহন মন্ডল বলেন, আমাদের কাছ থেকে ইজারাদার খাজনা নেন। তাঁরা কীভাবে টার্মিনালে বসান তা তো আমরা জানি না।

টার্মিনালে বাজার বসানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে ইজারাদার মো. রফিকুল খান বলেন, ‘জায়গাটা খালি পড়ে থাকে বিধায় আমরা ব্যবহার করতাম। তিন দিন আগে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক এসে নিষেধ করায় এখন আর ব্যবহার করা হয় না।’ তবে সরেজমিনে মাছের বাজার দেখা গেছে।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. রফিকুর রহমান বলেন, ‘টার্মিনালটি ব্যাক সাইডে হওয়ায় সেখানে গাড়ি দিলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। টার্মিনালে গাড়ি দিলে আনলোডের গাড়ি আটকে গিয়ে অনেক সময় জ্যাম লেগে যায়। আবার কিছু গাড়ি লুকিয়ে সিরিয়ালে ঢুকে। যদিও ছোট টার্মিনালে মাত্র ২০-২৫টি গাড়ি রাখা যায়। এরপরও মাঝে মধ্যে গাড়ি দেওয়া হয়।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ