সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের তদারকির দায়িত্ব পান সিরাজগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফরিদুল ইসলাম। তিনি ঘুষ চাওয়ার পর সে টাকা না পাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া ও ঠিকাদারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন—এমন অভিযোগ উঠেছে।
এর প্রতিকার চেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার রাতে মেসার্স আমিন ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহকারী প্রকৌশলী মো. তুহিন হোসেন তাড়াশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ উল্লেখ আছে, গুল্টাবাজার আদিবাসী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ভবন নির্মাণাধীন আছে। আর সে নির্মাণকাজ চলাকালে গত মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ভবনের ছাদ ও মেঝে ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হয়। এ সময় মো. ফরিদুল ইসলাম ওই কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা আমিন ট্রেডার্সের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রকৌশলী মো. তুহিন হোসেনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এতে তুহিন হোসেন ঘুষ দিতে অস্বীকার করলে তদারকি কর্মকর্তা নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ের ছাদ ও মেঝে ঢালাই বন্ধ করে দেন এবং তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে ওই প্রকৌশলী তুহিন হোসেনের ঠিকাদারকে দেখে নেওয়ার ও প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তদারকি কাজে সময়মতো না আসা ও নানা অজুহাতে অহরহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে হয়রানির অভিযোগও করেন তুহিন হোসেন।
তবে মো. ফরিদুল ইসলাম ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘শিডিউল মোতাবেক কাজ দেখে নেওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আমাকে হয়রানি করতে এ ধরনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।’
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মো. ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে ঠিকাদারের লোকজনের কাজ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি আমি দেখব।’