ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আড়াইসিধা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল কারচুপির অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সেলিম। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি আড়াইসিধা ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও বিকেলে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের ব্যালট পেপারের সিরিয়ালে অমিল ছিল। এর মধ্যে ৩ নম্বর আড়াইসিধা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের তিন নম্বর বুথে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের ব্যালট পেপারের মধ্যে অমিল ছিল। ভোট গণনার সময় ৮ নম্বর ভবানীপুর শহীদ স্মৃতি এইচ এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যানের প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে ইউপি সদস্যের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান রয়েছে। ফলাফল শিটে প্রায় ১৫০ ভোটের ব্যবধান দেখা গেছে। এ ছাড়া ভোট গণনার পর পোলিং এজেন্টদের ফলাফল শিট সরবরাহ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মো. সেলিম বলেন, ‘আনারস প্রতীকের ভোটের সঙ্গে নৌকার ভোট এক গণনা করা হয়েছে। এদিকে ৮ নম্বর ভবানীপুর শহীদ স্মৃতি এইচ এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়া ও জুয়েল মিয়া মাস্টারের ফলাফল ঘোষণা এখনো বাকি রয়েছে। তাই এসব কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছি। পুনরায় ভোট গণনার পরে যদি এক ভোটেও আমি পরাজিত হয়, কোনো আক্ষেপ থাকবে না।’
রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, নৌকার প্রার্থীর লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। অভিযোগটি নির্বাচন কমিশনে পাঠাব। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মো. সেলিম আড়াইসিধা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত বুধবার উপজেলার ৮টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আড়াইসিধা ইউপিতে সেলিমের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী আবু ছায়েম (আনারস)। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর চেয়ে ৪৪টি ভোট বেশি পেয়ে আবু ছায়েম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। এতে মো. সেলিম পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৩ ভোট।