সেন্ট মার্টিন থেকে প্রায় তিন হাজার বেওয়ারিশ কুকুর অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার থেকে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সেখান থেকে খাঁচায় বন্দী করে কুকুরগুলো নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে সেন্টমার্টিনে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতে পর্যটক ও স্থানীয়রা অতিষ্ঠ ছিল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেন্ট মার্টিনের সৈকত জুড়ে বেওয়ারিশ কুকুরের বিচরণ। কুকুরগুলো সাগর পাড়ে ডিম পাড়তে আসলেই মা কচ্ছপের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে অনেক সময় মা কচ্ছপ মারা পড়ছে। এ ছাড়া কাঁকড়া, শামুকসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে ফেলছে কুকুরের দল।
সম্প্রতি কুকুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়া ও পর্যটকেরা বিভিন্ন সময়ে কুকুরের ভিড়িও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ার পর সংশ্লিষ্টরা কুকুর নির্মূলের উপায় খোঁজে।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মুহিব উল্লাহ বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে কুকুর গুলো ধরে সেন্টমার্টিন থেকে অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা পরিষদ ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সদ্য যোগদানকারী ইউএনও কাইছার খসরু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মুহিব উল্লাহ, এমওডিসি ডা: প্রণয় রুদ্র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
এ বিষয়ে ইউএনও পারভেজ চৌধুরী জানান, ‘সেন্টমার্টিনে কুকুর বৃদ্ধি পাওয়ায় ভ্রমণে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ স্থানীয়দের কামড় দেওয়া প্রতিনিয়ত ঘটছে। এ ছাড়া সৈকতে ডিম পাড়তে আসা কচ্ছপগুলো হুমকির মুখে রয়েছে। ফলে সুন্দর উপায়ে দ্বীপ থেকে কুকুর পূর্ণ বাসন কাজ শুরু করা হয়েছে।’