হোম > ছাপা সংস্করণ

হাটহাজারীতে অগ্নিকাণ্ডে মা ও শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৭

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

শিশু রোহান (৬ মাস) গতকাল বুধবার ভোরে মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। হঠাৎ বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মৃত্যু হয় রোহান ও তার মায়ের। এতে নারীসহ আরও পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রঙ্গিপাড়া এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আগুনে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাতটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আবু তাহেরের বসতঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে পাশের সাত পরিবারের বসতঘর ও ঘরে থাকা মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে দুটি ইউনিট এসে আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন হাফেজ আবু তাহের, মো. শাহ আলম, মাবিয়া খাতুন, নুরুল আলম, ফোরক আহমদ, নুর নাহার বেগম ও শাহজাহান।

এ ছাড়া আগুনে দগ্ধ হয়েছেন আনোয়ারা বেগম (৪০), লাকি আকতার (৪৫), মো. কালা মিয়া মানিক (২০), ছেনোয়ারা বেগম (৬০), জানে আলম (২৪)।

হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তাহামি সাবের চৌধুরী বলেন, গতকাল ভোরে দগ্ধ কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক আহমেদ বলেন, দগ্ধ ছয়জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে এক শিশু রোহান ও তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। বাকি পাঁচজনের শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে আনোয়ারা বেগমের ২২, লাকি আকতারের ১০, ছেনোয়ারার ১০, কালা মিয়া মানিকের শরীরের ২৫ শতাংশ ও জানে আলমের হাত-পা পুড়ে গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শাহজাহান। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম ও পৌরসভার সহায়ক কমিটির সদস্য আলী আজম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সাত পরিবারকে দুই বান টিন, নগদ ৬ হাজার টাকা, ৫টি করে কম্বল ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আর রোহানের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে ৫০ কেজি করে তিন বস্তা চাল দেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ