দিন যতই যাচ্ছে, বিভিন্ন অপরাধসহ হত্যাকাণ্ড ততই বাড়ছে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে। এতে দিন দিন আতঙ্ক বাড়ছে।
সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মো. মুহিববুল্লাহ ও ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদ্রাসার’ শিক্ষক ও ছাত্রসহ সাতজন খুন হওয়ায় এ আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সাধারণ রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি উখিয়া ও টেকনাফের অধিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
শিবিরগুলোতে আরও বেশি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তবে প্রশাসন বলছে, নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি আরও অতিরিক্ত সদস্য বৃদ্ধি করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, কথিত আরাকান সালভেশন আর্মির (আরসা) দল ছাড়া ১০-১২টি ছোট দল বিভক্ত হয়ে নানা অপরাধ করছে। মাদক ও সোনাসহ বেশ কিছু দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো টাকাই তাঁদের উৎস বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকেই।
তাঁরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু দুষ্কৃতকারী রোহিঙ্গার তালিকা করা হয়েছে। তাঁদের ধরা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা নেতা বজলুর ইসলাম দুঃখ করে বলেন, একজন ভালো মানুষকে খুন করল দুষ্কৃতকারীরা। মুহিববুল্লাহ আমাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি সব রোহিঙ্গাকে দেখভাল করতেন।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গারা দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে। তারা মাদক পাচার, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও খুন করে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের দাবি জানান তিনি।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বলেন, রোহিঙ্গারা শিবির ছেড়ে স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে মিশে খুন থেকে শুরু করে নানা অপরাধ করছে। কক্সবাজারের প্রায় এলাকায় তারা ভাড়া বাসা নিয়ে থাকছে। এ ছাড়া যেমন খুশি তেমন চলাফেরা করতে পারায় তাদের দুঃসাহস বাড়ছে।
র্যাব-১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস বলেন, ‘আমরা দুষ্কৃতকারী রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা কঠোর অভিযান পরিচালনা করব।’
১৪ আর্মড পুলিশের অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আগে থেকে অভিযান চলমান রয়েছে। মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সেটি আরও জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার ঘাটতি নেই বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করছে মনে করেন তিনি।