হোম > ছাপা সংস্করণ

ড্যাম নির্মাণ হোক সঠিক পরিকল্পনায়

সম্পাদকীয়

বর্তমানে বোরো ধান চাষের মৌসুম চলছে। এ সময় কৃষকের জন্য সেচের পানি সরবরাহ ঠিক রাখা অতিগুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ফেনীর পরশুরাম উপজেলার কৃষকেরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত রাবার ড্যাম থেকে কোনো ধরনের উপকার পাচ্ছেন না। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় গত মঙ্গলবার ‘চার কোটির রাবার ড্যাম নষ্ট ১৫ বছর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

জানা যায়, ২০০৬ সালে ফেনীর পরশুরাম পৌর এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদের পানি ধরে রাখার জন্য কহুয়া নদীতে স্থাপন করা হয়েছিল রাবার ড্যাম। কিন্তু দুই বছর পরই তা অকেজো হয়ে যায়। সেটা এখনো ঠিক করা হয়নি। ফলে ১৫ বছর ধরে ওই এলাকার কৃষকেরা এই ড্যাম থেকে কোনো উপকার পাচ্ছেন না। ড্যাম সচল না থাকায় কৃষকদের সেচপাম্প বসিয়ে নদী থেকে পানি তুলে চাষাবাদ করতে হচ্ছে। এতে তাঁদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

রাবার ড্যাম মূলত সেচকাজে পানি সরবরাহ ঠিক রাখা এবং বন্যার পানি বাধাহীনভাবে সরাতে ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প দেশব্যাপী প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহার করে, সেচসুবিধা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিচালিত সেচপাম্প, রাবার ড্যাম, হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম, স্মার্ট কার্ড বেইজড প্রি-পেইড মিটার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টার, পলিনেটেড শেড, স্প্রিংকলার, ড্রিপ সেচপদ্ধতিসহ অনেক নতুন প্রযুক্তি, সেচপদ্ধতির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।

সেচকাজসহ নানা কাজে ভূগর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের কারণে দিন দিন পানির স্তর স্থানভেদে নিম্নগামী হচ্ছে। এই নিম্নগামিতা রোধকল্পে প্রবহমান ছোট নদী বা খালে রাবার ড্যাম নির্মাণ করে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করায় কৃষকেরা উপকৃত হচ্ছেন। রাবার ড্যামগুলো নির্মাণের ফলে সেচব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে।

ভৌগোলিকভাবে ফেনীর ফুলগাজীর তুলনায় পরশুরাম উপজেলা উঁচু। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই ড্যামটি স্থাপন করেছে। উঁচু এলাকা পরশুরামে স্থাপিত রাবার ড্যামটি সচল আছে। তবে এটি ফুলিয়ে পানি আটকালে পরশুরামের কৃষক উপকৃত হলেও, ফুলগাজী অংশের কৃষকেরা পানি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। যার কারণে এটি ফোলানো হয় না।

রাবার ড্যামটি সচল থাকার পরেও চালু না থাকার কারণ হলো, পরশুরামে নির্মিত ড্যামটি ফুলিয়ে সচল করলে, ফুলগাজীর কৃষকেরা নদীর প্রবাহিত পানি পাবেন না। কারণ এই এলাকায় ভারতের উজান থেকে পানি দুই নদীতে আসে। কহুয়ায় ড্যাম ফোলালে পানি মুহুরী নদীর দিকে চলে যায়। এতেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সে জন্য দুই এলাকার পানি সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য মুহুরীর কাছে আরেকটি ড্যাম নির্মাণ করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।

পাউবোর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ড্যামটি থেকে কৃষকেরা উপকার পাচ্ছেন না। এ সমস্যা সমাধানে তাদের উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। পাউবো ত্বরিত উদ্যোগ নেবে, সেটাই আমাদের চাওয়া।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ