হোম > ছাপা সংস্করণ

দিনে অভিযান, রাতে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

নিত্যনতুন কৌশলে প্রতিদিন চলছে কৃষিজমি উজাড় করার ঘটনা। দিনে প্রশাসনের অভিযান চলে। তাই রাতের আঁধারেই চলছে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা এবং ট্রাক দিয়ে ইটভাটায় মাটি পৌঁছানোর কাজ।

গত শীতকাল থেকে নবাবগঞ্জের কৃষিজমির মাটি ইটভাটায় বিক্রির হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সে সময় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে জেল-জরিমানা করে। তবু থামানো যায়নি কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি।

দেখা যায়, উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের মাঝিরকান্দা চালনাই বিলের বিদ্যুৎ গ্রিডের পাশে রাতের আঁধারে বিস্তীর্ণ মাঠের মাঝখান থেকে মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ। ট্রাকের পর ট্রাক ভর্তি করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হচ্ছে এই মাটি। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত চলে মাটি কাটা ও পরিবহন। একই চিত্র দেখা যায় বান্দুরা ইউনিয়নের কোঠাবাড়ি চক, শোল্লা, বক্সনগর, নয়নশ্রী, শিকারীপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে।

গত এক সপ্তাহে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল এবং ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে উপজেলা প্রশাসন। তবে অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধভাবে মাটি কাটার মহোৎসব।

সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত মাটি কেটে গাড়ি ভর্তি করে বিভিন্ন ইটভাটা ও জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। মাটি পরিবহনে ওভারলোড ট্রাক অতিরিক্ত চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা এবং পার্শ্ববর্তী কৃষিজমি। পিচ ঢালা রাস্তার ওপর মাটি পড়ে বেশির ভাগ স্থান বাজে হয়ে আছে। এসব রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।

বক্সনগর ইউনিয়নের দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘বক্সনগর, কলাকোপা ও বান্দুরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় ৮-১০টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এদের বেশির ভাগ মাটিই দিঘিরপাড়ের কৃষিজমি থেকে নেওয়া।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা বিশাল সিন্ডিকেট। নাম বললে শান্তির ঘুম হারাম হয়ে যাবে। এখন তো রাতে রাতেই কাজ শেষ। সাধারণ মানুষ কিছু জানতেই পারেন না।

ভাটাসংশ্লিষ্ট একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পত্রিকায় লেখালেখি হলে মাটি ব্যবসায়ীদের কোনো ক্ষতি হয় না। ক্ষতি হয় ভাটা মালিকদের।

বান্দুরার ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বলেন, ‘আমি শুনেছি চালনাই চক এবং কোঠাবাড়ি চকে রাতের আঁধারে মাটি কাটা হচ্ছে। ইউএনও এবং থানার ওসিকে জানিয়েছি। তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কৃষিজমি বিপন্ন হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, ‘আমরা অভিযান পরিচালনা করে জেল-জরিমানা করছি। অভিযান চলছে। এ রকম ঘটনা কোথাও ঘটে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ