ঝিনাইদহে আরিফা খাতুন সোমা নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে সদর উপজেলার দক্ষিণ কাষ্টসাগরা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী ফরিদুল ইসলাম হত্যার পর সোমাকে ঝুলিয়ে রেখেছেন। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
এদিকে সোমার বাবার বাড়ি কালীগঞ্জে ‘হত্যাকারীদের’ ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন পরিবারসহ এলাকার কয়েকশ নারী–পুরুষ। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে কালীগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সোমার বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ের জামাই বিদেশ ছিল। বিদেশ যাওয়ার আগে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। দুই বছর পর বাড়িতে আসে। সম্প্রতি আবারও বিদেশ যাওয়া জন্য টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। প্রায় দিনই মেয়েকে মারধর করত। গত শুক্রবার রাতেও মেয়েকে নির্যাতন করে ফরিদ। একপর্যায়ে মারা গেলে জামাই ও পরিবারের সদস্যরা গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর আত্মহত্যা বলে প্রচার চালায়।’
এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক দিপঙ্কর মালাকার জানান, পরিবারের সদস্যদের জিডির পর ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।