গঙ্গাচড়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হামলায় বড় দুই ভাইসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার উপজেলার বাগপুর বাগেরহাট এলাকায় ছুরি ও লাঠি নিয়ে এই হামলা চালানো হয়।
আহতরা হলেন বড় ভাই মোকলেছার রহমান ও আব্দুল খালেক এবং খালেকের স্ত্রী বুলবুলি বেগম, ছেলে সামসুজ্জামান বিপ্লব ও মেয়ে ফাহিমা বেগম। তাঁদের মধ্যে বুলবুলি ও সামসুজ্জামান স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় খালেকের ছেলে বুলবুল আহমেদের করা মামলায় পুলিশ অভিযুক্ত ছোট ভাই আব্দুল বাতেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাতেন তাঁর মেয়েকে বড় ভাই মোকলেছারের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। বাতেনের কাছে জামাতার পাওয়া টাকা নিয়ে গতকাল ঝগড়া বাঁধে। এ সময় বাতেন লাঠি দিয়ে মোকলেছারকে আঘাত করলে তাঁর হাত ভেঙে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বাতেন ছুরি দিয়ে অপর বড় ভাই খালেকের মাথায় আঘাত করেন। তখন ফাহিমা এগিয়ে এলে লাঠিপেটায় তাঁরও হাত ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে লাঠির আঘাতে বুলবুলি ও সামসুজ্জামান আহত হন।
এ ছাড়া ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বাতেন তাঁর মেয়ে বিপাশা বেগমের হাতের আঙুল কেটে আহত দেখিয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বাতেনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, আর্থিক সমস্যার কারণে জামাতার পাওনা ২ লাখ টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ে বিপাশাকে যৌতুকের জন্য তাঁর স্বামী পরিবারের লোকেরা সর্বদা নির্যাতন করে আসছে।
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, ‘মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’