ঢাকা ব্লোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলাটি পুলিশ ঠিকভাবে তদন্ত করেনি বলে দাবি করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাধ্যমে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এ মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে জমা দেওয়া নারাজি আবেদনে এমন দাবি জানান পরীমণি। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে নারাজি আবেদনটি জমা দেন তিনি।
আবেদনপত্রে পরীমণি বলেছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেননি। ওই হোটেলের একজন ওয়েটার ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। ঘটনার পরে সিআইডি তাকে তুলে আনে এবং সে তার অপরাধ স্বীকার করে। কিন্তু পুলিশের জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে
ওই ওয়েটারকে আসামি করা হয়নি। এমনকি তার নামই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। বাদীপক্ষের সাক্ষী বহ্নির নাম অভিযোগপত্রে রাখা হয়নি এবং তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। যে কারণে এই মামলার অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
আদালত পরীমণির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন এবং মামলার নথি পর্যালোচনা করে আগামী ১৩ ডিসেম্বর এ ব্যাপারে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, গতকাল মামলার দুই আসামি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির ইউ মাহমুদ ও তাঁর সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আগের শর্তে আবারও তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) শাহ শহিদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ অভিযোগপত্রে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করে। তিন আসামির মধ্যে প্রথম দুজন জামিনে রয়েছেন। শহিদুলকে পলাতক দেখানো হয়েছে। গত ১৪ জুন নাসির, অমিসহ আরও চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন পরীমণি। সেদিনই উত্তরা থেকে নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়।