হোম > ছাপা সংস্করণ

জাল জব্দ, পুড়িয়েও থামানো যাচ্ছে না অসাধু জেলেদের

আব্দুল আউয়াল, বানারীপাড়া

বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে নিষিদ্ধ বেহুন্দি, কারেন্ট, মশারি, চট, পাই ও টং জালের ব্যবহার বন্ধে চলছে বিশেষ অভিযান। এতে প্রতিদিনই পোড়ানো হচ্ছে নিষিদ্ধ জাল। মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন জানুয়ারির ২১ তারিখের পর থেকে এখন পর্যন্ত পোড়ানো হয়েছে জব্দ করা ১৫টি বেহুন্দি, ২০০টি চটজাল এবং ১০ হাজার মিটারের বেশি কারেন্ট জাল। তারপরও বিধিনিষেধ অমান্য করে জাটকাসহ বিভিন্ন মাছ শিকারে ব্যস্ত কিছু জেলে।

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে এবং সরেজমিন জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কোস্টগার্ড ও মৎস্য কর্মকর্তারা প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে ও মানাতে পারছেন না অসাধু মাছ শিকারিদের। জানা যায়, এ ধরনের জেলেরা নদীতে কারেন্ট জাল ফেলে রেখে নিশানা দিয়ে কূলে বসে থাকেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেলেই নিমেষের মধ্যে জাল টেনে উঠিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এ মাছ কেনার জন্য নদীতেই থাকে অসাধু ব্যাপারীরা। খুব সহজেই হয়ে যায় বেচাকেনা।

এ ছাড়াও সন্ধ্যা নদীর পার্শ্ববর্তী ছোট ছোট খালে ভোর রাতে বিষ জাতীয় দ্রব্য প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পানি নষ্ট হয়ে মাছ এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়ে। মাছ কিনারে এসে থাকে তখনই চিংড়ি ও বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা হয়।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলেও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ধরা পড়ে। এ সময় জাল টানার সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছোট জাটকা ওঠে আসতে দেখা গেছে।

দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ সহকর্মী এনামুল কবির বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন বানারীপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ স্যারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছি। জাল পোড়ানো হচ্ছে।’

বানারীপাড়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জানুয়ারির ২১ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত বেহুন্দি জাল পোড়ানো হয়েছে ১৫ টি, চটজাল ২০০ টির বেশি। জব্দ করা কারেন্ট জাল পোড়ানো হয়েছে ১০ হাজার মিটারের ও বেশি। এ ছাড়াও পোড়ানো হয়েছে নানা জাতের নিষিদ্ধ জাল।’

মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অভিযানের ফলে অবৈধ জাল ব্যবহারে অনেকটাই এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরপর ও অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যে একজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে জাল ফিরিয়ে দিয়েছে। নদীতে এখন সুতার জাল পাতা হচ্ছে।’

বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রিপন কুমার সাহা বলেন, ‘অসাধু জেলেদের ধরতে আমাদের অভিযান চলবে। অতি দ্রুত প্রচেষ্টা চালিয়ে এ ধরনের অবৈধ মাছ শিকার পুরোপুরি বন্ধ করব।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ