ভাষা-সংস্কৃতি, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে প্রেমের টানে সুদূর মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন তরুণী। নাম তাঁর গ্লাডির্স নাইলি ট্রোরেবিয়ো মোরালিয়ার্স। ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশি ছেলে রবিউল হাসান রোমনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তা প্রেমে রূপ নেয়। সেই প্রেমের টানে বাংলাদেশে রোমনের কাছে চলে আসেন নাইলি।
মেক্সিকো থেকে গত রোববার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন নাইলি। পরে রোমনের পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তাঁদের বিয়ে হয়। রোমন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চর পোগলদিঘা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
মেক্সিকোর এক খ্রিষ্টান পরিবারে জন্ম নাইলির। মেক্সিকো ইউনিভার্সিটি থেকে সাইনোক্লোজি বিষয়ের ওপর পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসা করছিলেন। ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোমনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। প্রেমের টানে সবকিছু ছেড়ে তিনি চলে আসেন বাংলাদেশে। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ঢাকা জজ
কোর্টে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এক লাখ টাকা কাবিনে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের কাজ শেষে পরিবারের লোকজন তাঁকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।
রবিউল হাসান রোমন জানান, আড়াই বছর ধরে তাঁদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তিনি মেক্সিকো যাওয়ার অনেক চেষ্টা করেও যেতে পারেননি। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলে টুরিস্ট ভিসায় নাইলি বাংলাদেশে এসেছেন।
এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম জানান, সম্পর্কের ব্যাপারে ছেলে তাঁদের আগেই জানিয়েছিলেন। পরিবারের সবাই মিলে বিমানবন্দরে গিয়ে নাইলিকে গ্রহণ করেছেন। পরে জজ কোটে বিয়ে হয় তাঁদের।
পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান সামস্ উদ্দিন জানান, মেক্সিকো থেকে এক তরুণী চর পোগলদিঘা গ্রামে এসেছেন। তাঁরা জজ কোটে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করেছেন। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসেছেন।