পীরগঞ্জ উপজেলার গুজ্জিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিমল ঘোষ (৭০)। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ঘিয়ের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে এখন জীবিকা নির্বাহ করেন শিল-পাটায় শাণ দেওয়ার কাজ করে। বিমলের বাবা প্রয়াত বোনারিলাল ঘোষ ছিলেন উপজেলার নামকরা ঘি উৎপাদক। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতায় ২০ বছর আগে বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে বিমল করছেন শিল-পাটায় শাণ দেওয়ার কাজ।
কথা হলে বিমল ঘোষ আজকের পত্রিকাকে জানান, আকারভেদে প্রতিটি শিল-পাটায় শাণ দিতে ৫০ থেকে ১২০ টাকা মজুরি নেন তিনি। তবে আগের তুলনায় কাজ কমেছে। গুঁড়া মসল্লাসহ সবকিছু প্যাকেটজাত ও ব্লেন্ডারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মেশিনের ব্যবহার বাড়ায় শিল-পাটার ব্যবহার কমে গেছে।
বিমল ঘোষ জানান, দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করার কারণে তাঁর কোমর ও মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয় হয়েছে। এখন দিনে তিন-চারটির বেশি কাজ করতে পারেন না। তাঁর দুই ছেলে, এক মেয়ে। ছেলেরা এখনো বংশীয় পেশা আঁকড়ে ধরে আছে। তবে ঘিয়ের পরিবর্তে দই বেচে জীবিকা নির্বাহ করছেন তাঁরা।