মঠবাড়িয়ায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান গাজীকে হত্যার অভিযোগে গত সোমবার আদালতে মামলা হয়েছে। তাঁর ভাই আব্দুল্লাহ গাজী বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
ইমরান গাজী পৌর শহরের সবুজ নগর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মামলার আসামিরা হলেন একই গ্রামের চা দোকানি হারুন অর রশিদ, তাঁর স্ত্রী ফাতিমা বেগম ও তাঁদের ছেলে হাসান এবং নির্মাণাধীন ভবনের মালিক আউয়াল শরীফ ও কেয়ারটেকার ইলিয়াস।
আদালত পিরোজপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইমরান একই গ্রামের আউয়ালের নির্মাণাধীন ভবনে ইলেকট্রিকের কাজ করতেন। ওই ভবন সংলগ্ন হারুন অর রশিদের দোকানে চা-নাশতা করতেন। এই সুবাদে হারুনের স্ত্রী ফাতিমা বেগমের সঙ্গে কথা বলতেন ইমরান। এদিকে বিদ্যুতের লাইনের কাজের গতি নিয়ে ইমরানের সঙ্গে নির্মাণাধীন ভবনের কেয়ারটেকার ইলিয়াসের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে দোকানির ছেলে হাসানকে তাঁর মা ও ইমরানের সম্পর্কে উসকানিমূলক কথা বলেন ইলিয়াস। এই পরিপ্রেক্ষিতে ইমরানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আসামিরা। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইমরানকে ১১ অক্টোবর চা ও জুসের সঙ্গে চেতনানাশক পান করানো হয়। পরে তাঁকে হত্যা করা হয়। ইমরানের লাশ নির্মাণাধীন ওই ভবনের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে ফ্যান লাগানোর রডের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পুলিশ ওই দিনই লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন ১১ জনকে আটক করে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফাতিমা বেগম ছাড়া অন্যদের ছেড়ে দেয়। পরে ফাতিমাও জামিনে মুক্তি পান।