কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির একটি পুরোনো ভবনের টিন, কাঠসহ বিভিন্ন উপকরণ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ওই বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চলতি মাসের ৯ তারিখে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অভিভাবকেরা।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অসুবিধা হতো। ২০১৮ সালে সরকারি অনুদান এবং বিদ্যালয়ের দুটি গাছ বিক্রির টাকায় ১০ বান্ডিল টিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম কিনে একটি ছাপরাঘর নির্মাণ করা হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তী বছরে ছাপরাটি ঝড়ে ভেঙে যায় এবং ঘরের টিন, কাঠ, বাঁশ, লোহা, ৪টি জানালার গ্রিলসহ সব মালপত্র বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে সংরক্ষণ করা হয়। করোনাকালীন দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় এগুলো খোঁজ করা হয়নি। বিদ্যালয় খোলার পর এসব মালপত্র সেই কক্ষে পাওযা যায়নি। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মো. ছানোয়ার হোসেন ও নৈশপ্রহরী মোশারফ হোসেন এগুলো বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
নৈশপ্রহরী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ভালো বলতে পারবেন। তবে কিছু মালামাল এক শিক্ষিকার বাগানে রাখা আছে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। একটি চক্র আমাকে হেয় করার জন্য লেগেছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাছুম বলেন, ‘এ ব্যাপারে অবগত আছি। প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’