হোম > ছাপা সংস্করণ

নির্মাণসামগ্রীর দাম লাগামহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নির্মাণসামগ্রীর দাম এক মাসের ব্যবধানে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। খুচরা পর্যায়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী। এতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। অর্থসংকটে থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অসংখ্য নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। ফলে দেশের আবাসন খাতে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

আবাসন খাতের সংকট নিরসন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে সম্পন্ন করতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পাঁচ-ছয় মাস ধরে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েই চলছে। কিছু উপকরণের মূল্যবৃদ্ধিতে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি গত এক মাসে অবকাঠামো খাতের মূল কাঁচামাল যেমন রড, সিমেন্ট, পাথর, বিটুমিন, কপার, অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতির দাম ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, যা নির্মাণশিল্পের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এ অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে দেশের নির্মাণ খাত অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং অধিকাংশ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হতে পারে। আর প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হলে দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানও খেলাপি ঋণের কারণে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বাজারের চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, রডের দাম সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রমাগত উত্তাপ ছড়াতে ছড়াতে গত এক বছরেই উচ্চমূল্যের কাতারে পৌঁছে গেছে নির্মাণকাজের অত্যাবশ্যক এ উপকরণ। গত জানুয়ারির চেয়ে এখন প্রায় ৩৮ শতাংশ বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে যেকোনো গ্রেডের রড।

নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সহসভাপতি কামাল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি রড, সিমেন্ট, ইট, পাথর থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েছে। এর মধ্যে রডের দাম ৩৭-৩৮ শতাংশ, পাথরের দাম ১৫-২০ শতাংশ এবং অন্যান্য সামগ্রীর দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে।

নীলফামারীর আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যবসায়ী আজকের পত্রিকাকে বলেন, রড, সিমেন্ট, ইট, পাথর, পাইপ ও থাইগ্লাস প্রভৃতির দাম লাগামছাড়া পর্যায়ে চলে গেছে। আমরা বেশি দামে কেনার ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। এখন বাজারে খুচরা পর্যায়ে ৭৫ থেকে ৮৩ হাজার টাকা দরে প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বিএসআরএমের দাম সবচেয়ে বেশি ও সিএসআরএমের দাম ৭৩ হাজার টাকা। সবচেয়ে বেশি দামে লাফার্জহোলসিম সিমেন্টের প্রতি বস্তা ৫০০ টাকা ও কম দামে আকিজ সিমেন্ট ৪৫০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

ইট বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, ইটের দাম প্রতি হাজারে ২-৩ হাজার টাকা বেড়েছে। এখন বিভিন্ন মানের ইট প্রতি হাজার ৮ থেকে ১১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিপিএইচ ইস্পাতের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, রডের কাঁচামাল নিয়ে বিশ্বজুড়ে সাপ্লাই চেইনে একটা সংকট চলছে। বিভিন্ন কারণে কাঁচামাল ইস্পাতের সরবরাহ কমে গেছে এবং দাম অনেক বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন ইস্পাতের যে দাম আছে, সেটির সঙ্গে সমন্বয় করলে দেশের বাজারে রডের দাম গিয়ে দাঁড়াবে প্রতি টন ৮০ হাজার টাকায়। আর দাম আরও বাড়বে না কমবে, সেটা পরে বোঝা যাবে।

কদমতলী স্টিল মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম আবাসন খাতে উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবাসন ব্যবসা। তেল, শ্রমিক, পরিবহনসহ সব উপকরণের দাম বেড়েছে। এ অবস্থায় আবাসন ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক ব্যবসায়ীই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। ব্যবসা বন্ধ হলে তাদের অনেকে দেউলিয়া হতে পারেন।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ