হোম > ছাপা সংস্করণ

১১৫ হেক্টরে মিষ্টি আলু চাষ বাম্পার ফলনের আশা

তিতাস প্রতিনিধি

তিতাস উপজেলায় চলতি মৌসুমে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। সরেজমিন চাষিদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১১৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করা হয়েছে।

গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের সরস্বতীরচর গ্রামের উত্তর দিকে দিয়ে বয়ে যাওয়া কাঁঠালিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে মিষ্টি আলুর চাষ করা হয়েছে। এখানকার খাউল্লারচক মাঠজুড়ে যত দূর চোখ যায় শুধুই আলুখেত।

এ সময় একটি খেতে পরিচর্যা করছিলেন চাষি সেলিম মিয়া। তিনি জানান, ২০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন তিনি। করোনাকালীন ছুটিতে বাড়িতে এসে আর যেতে পারেননি। এরপর কৃষিকাজ শুরু করেছেন। কাঁঠালিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে খাউল্লারচক মাঠে পাঁচ কানি জমিতে মিষ্টি আলুর আবাদ করেছেন।

সেলিম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রতি কানি জমি থেকে ৫০-৬০ মণ আলু পাবেন। এগুলো বিক্রি হবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায়।

সেলিম মিয়া বলেন, মিষ্টি আলু রোপণের আগে জমি প্রস্তুত করতে পাওয়ার টিলার দিয়ে তিনটি চাষ করেছেন। এরপর জৈব সার, জিপসাম সার, ইউরিয়া, জিংক ও পটাশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে গোবর ৪০ ভার (৮০ ঝুড়ি), জিপসাম সার ৩৫ কেজি, জৈব সার ৪০ কেজি, জমি চাষাবাদের আগে ও সেচের সময় দুই দফায় ইউরিয়া সার ৩০ কেজি, ডিএমপি ৩০ কেজি এবং একবার সেচ দিয়েছেন। এতে চারা কেনাসহ প্রতি কানি জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ বা সহযোগিতা পেলে মিষ্টি আলুর ফলন আরও ভালো করতে পারতেন বলে জানান এই কৃষক।

একই গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম (৭০) বলেন, ‘এটা মৌসুমি খেত। মাটিতে রস থাকলে একবার সেচ দিলেই হয়। তবে রোগবালাই নেই বললেই চলে। আমি চার কানি জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ করেছি। আশা করি, এ বছর ফলন ভালো হবে।’ আলু ওঠানোর পর জমিতে পাট চাষ করবেন বলে জানান তিনি।

তিতাস উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালাহ উদ্দিন জানান, মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ আছে। মিষ্টি আলু বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মিষ্টি আলু চাষে সময় লাগে কম এবং ফলনও ভালো হয়। প্রতি কানিতে ৫০ থেকে ৬০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। এটি লাভজনক ফসল এবং দামও ভালো।

মিষ্টি আলু চাষের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, বাড়ির আশপাশে, আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে মিষ্টি আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অধিক পরিমাণ ফলন পেতে উন্নত জাতের মুরাসাকি মিষ্টি আলুর লতা এবং সার দিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে ২০ শতক করে ১০টি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া ফসল উৎপাদনে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ