সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় চার বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উপজেলা ও পৌর শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলার ছাত্রলীগের মোহাম্মদ আবু সাঈদকে আহ্বায়ক করে ৫১ সদস্যের উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে এহসান আহমেদকে আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্যের নবীনগর পৌর কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা ছাত্রলীগ।
গত শনিবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে ছয়জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মো. নাসির উল্লাহ, মোহাম্মদ নাজিম হোসেন, সাকিব মাহমুদ, কবির আহমেদ, মোবারক হোসেন ও আবদুল্লাহ আল তুষার।
অন্যদিকে ৪১ সদস্যবিশিষ্ট পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে আটজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সামির আহমেদ সাইদুল, সাইফুল ইসলাম সাফু, সাথিক হাসান তপু, আকরাম আহমেদ, হিমেল পিয়াস রণী, শুভ আহমেদ রাজু, তানভীর রহমান ও সোহান মিয়া।
এদিকে দুটি কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর শনিবার সকালে ওই দুই কমিটির অনুসারীরা আনন্দ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, করোনার কারণে কমিটি দিতে এত দেরি হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হলে, এই কমিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, যারা আহ্বায়ক কমিটিতে যুক্ত হতে পারেননি, তাদের আমরা যোগ্যতার ভিত্তিতে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুন্দর সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেব ইনশা আল্লাহ। এই কমিটি ভবিষ্যতে নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হাসান রুবেল বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের মতামত নিয়েই কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। আর এই কমিটি ৯০ দিনের জন্য দেওয়া হয়েছে, এইটা আহ্বায়ক কমিটি বা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিও বলতে পারেন। এরপরও কারও অসন্তোষ কিংবা ক্ষোভ থাকলে সামনে যে সম্মেলন হবে সেখানে নিশ্চয় তাঁরা তাদের যোগ্যতা দিয়ে কমিটিতে আসতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন কমিটি ছিল না। তাই অনেকটা মানবিক দিক বিবেচনা করে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।