হোম > ছাপা সংস্করণ

ট্রেন যাবে মাতারবাড়ী

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

কক্সবাজারের মহেশখালীর গভীর সমুদ্রবন্দর মাতারবাড়ী পর্যন্ত যাবে রেললাইন। দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য সহজে পরিবহনে এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের চকরিয়া অংশ থেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রেললাইন নির্মিত হবে।

ইতিমধ্যে ওই রেললাইন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) ও ডিজাইনের কাজও শেষ হয়েছে। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ নির্মাণ সমীক্ষা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। ‘কনস্ট্রাকশন অব নিউ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেল লিংক মহেশখালী অ্যান্ড মাতারবাড়ী প্রবোস্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট’ নামে ওই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

এই রেললাইন নির্মিত হলে মাতারবাড়ী বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন নির্বিঘ্নে করা সম্ভব হবে। এর মধ্য দিয়ে সড়ক, রেল, সমুদ্রপথে বহুমুখী (মাল্টিমোডাল) পণ্য পরিবহন স্থাপিত হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ী পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) ও ডিজাইনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে চলছে বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ। অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ার পরই মূল প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এই ২৬ কিলোমিটারের মধ্যে অনেকগুলো বড় দুটি নদী ছাড়াও ছোট নদী-খাল রয়েছে। এর মধ্যে ১১ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড। প্রকল্পের জন্য ৪৪৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে।

মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে শেষের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রবন্দরের যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। মাতারবাড়ী থেকে সরাসরি ইউরোপ-আমেরিকা থেকে জাহাজে পণ্য পরিবহন সম্ভব হবে। সেই পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহনের জন্য ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মাতারবাড়ী-চকরিয়া সংযোগ সড়ক তৈরি করছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। পাশাপাশি রেললাইন যুক্ত হলে পণ্য পরিবহনে সহজ নতুন মাত্রা যোগ হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ হলে ব্যবসায়ীরা সহজে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় দারুণ এক নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী ভারতের রেলনির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থার উদাহরণ দেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ