মিঠাপুকুরে বাড়ছে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী চাষ। গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর বেশি জমিতে তেল জাতীয় ফসলটির আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর মিঠাপুকুরে মাত্র ৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে তা দাঁড়িয়েছে ৬০ হেক্টর।
এ বছর উপজেলার দুর্গাপুর, কাফ্রিখাল, পায়রাবন্দ ও রানীপুকুর ইউনিয়নে সূর্যমুখীর চাষ বেশি হয়েছে। এবার ২০০ কৃষককে উদ্বুদ্ধ করে সূর্যমুখী চাষে সম্পৃক্ত করা হয়। সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় চাষিদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সূর্যমুখী চাষের কলাকৌশল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
রানীপুকুরের বালাপাড়া গ্রামের কৃষক মোতালেব হোসেন জানান, তিনি ৩০ শতক জমিতে এবারই প্রথম সূর্যমুখী চাষ করেছেন। ফসল বিক্রির নিশ্চয়তা পাওয়ায় তিনি এটি চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
এক একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন দুর্গাপুরের মির্জাপুর গ্রামের ইউনুচ আলী। তিনি বলেন, গাছ ভালো হয়েছে এবং ফুলও এসেছে। এবার ভালো দাম পেলে আগামী মৌসুমে আরও অধিক জমিতে চাষ করবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা লোকমান হেকিম জানান, প্রতি শতকে সূর্যমুখীর ১২ কেজি বীজ উৎপাদন হয়। ১০০ কেজি বীজ থেকে ৪৪ লিটার তেল পাওয়া যায়। প্রতি মণ বীজের দাম ২ হাজার ৮০০ টাকা।
এই কর্মকর্তা বলেন, সূর্যমুখী বীজ বিক্রি নিয়ে কৃষকের চিন্তা নেই। কারণ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের কাছ থেকে বীজ কিনে নেবে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল আবেদীন জানান, রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডলের পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনায় এ বছর অধিক পরিমাণ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা সম্ভব হয়েছে। সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবে সূর্যমুখী ও সরিষা চাষ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বছর হাইব্রিড জাতের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। ভালো ফলন পাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। সয়াবিন ও সরিষার তেলের তুলনায় সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।