হোম > ছাপা সংস্করণ

স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ

মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নরসিংদীর মনোহরদীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। চালাক চর ইউপির আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মাহমুদ হাছান ফোটন এই অভিযোগ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফখরুল মান্নান মুক্তুর কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া এলাকায় গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, ফখরুল মান্নান মুক্তু।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে চালাকচর ব্যাপারীপাড়া এলাকায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন তামাককান্দা গ্রামের নূরুল ইসলাম, হাফিজপুর গ্রামের হিরন মিয়া এবং সবুজ মিয়া।

মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা লিফলেট বিতরণ করছিলাম। এ সময় নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছেন। তাঁদের লাঠির আঘাতে আমার হাত ভেঙে গেছে। আমি তাঁদের বিচার চাই।’

হিরন মিয়া নামের আরেক আহত বলেন, ‘আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। পরে আমার হাঁটু এবং পিঠে রড দিয়ে পিটানো হয়। পরে অজ্ঞান অবস্থায় আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার মোটরসাইকেলও ভেঙে ফেলা হয়েছে।

জানতে চাইলে, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মাহমুদ হাছান ফোটন বলেন ‘প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরপরও নির্বাচনের মাঠে আছি। এ জন্যই আমার গণসংযোগে হামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার চালাকচর ব্যাপারী পাড়ায় গণসংযোগ চালানোর সময় দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর নৌকা প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা করেছেন। আমি ন্যক্কারজনক এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’

তবে নৌকার প্রার্থী ফখরুল মান্নান মুক্তু বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমার কোনো কর্মী এই হামলার সঙ্গে জড়িত নন। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করেছেন। তা ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণায় কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।’

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, ‘নৌকা এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। তবে মারামারির বিষয়টি আমার জানা নেই। এ নিয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ