মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামে খালের ওপর সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। ঝুঁকি নিয়েই ছোট-বড় যানে এলাকার হাজারো মানুষ সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করে। মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিন দেখা গেছে, মালখানগর ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামের চৌকিদারবাড়ির সামনের খালের ওপর নির্মিত এ সেতুটির রেলিং ভেঙে গেছে। অনেক স্থানে স্ল্যাব ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুটি দিয়ে নাটেশ্বর, মধ্যপাড়া ইউনিয়নের তেলিপাড়া ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সুবচনী এলাকায় খেয়া পার হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে হাজারো মানুষ। সেতুটির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে সেতুর চারপাশে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। সেতুটি বর্তমানে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে এবং যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।
নাটেশ্বর গ্রামের কৃষক মো. মাসুম বলেন, ‘সেতুটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই এই সেতু ভেঙে নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়।’
মো. আওয়াল শেখ বলেন, ‘পাঁচ-ছয় বছর ধরে সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা গ্রামবাসী কোনো রকম চলাচল করছি। এ সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
অটোরিকশাচালক মো. মনির মিয়া বলেন, ‘সেতুর দুই পাশের রেলিংয়ের কংক্রিট পড়ে রড বের হয়ে গেছে। বয়স্ক ও বাচ্চারা পড়ে যেতে পারে। তাই নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
এ বিষয়ে মালখানগর ইউপির চেয়ারম্যান সানজিদা আক্তার জানান, উপজেলা এলজিইডি থেকে ক্ষুদ্র পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প-২-এর মাধ্যমে নাটেশ্বর খাল খনন চলছে এবং খনন প্রকল্পে এখানে একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, সেতুটি প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এটি জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে। তবে এটির স্থানে একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হবে। অনুমোদন হয়েছে, দরপত্র আহ্বান করার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হলে কাজ ধরা হবে।