হোম > ছাপা সংস্করণ

রেললাইন ঘেঁষে বাজার

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী

শীত আসতে না আসতেই নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের ওপর ফের বসছে পুরোনো কাপড়ের বাজার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজারের দোকানে ভিড় করেন শত শত নারী-পুরুষ। রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষে ওই বাজার বসলেও অজ্ঞাত কারণে তা উচ্ছেদ করছে না কর্তৃপক্ষ।

একইভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার রেললাইনের দুই পাশে গড়ে উঠেছে খাবার হোটেল ও লোহালক্কড়ের কারখানা, স্বর্ণালংকারের দোকান, কামারশালা ইত্যাদি। এতে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

শহরের আতিয়ার কলোনির বাসিন্দা কলেজশিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, মৌসুমি ব্যবসা হিসেবে রেললাইনের ওপর পুরোনো কাপড়ের দোকানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে অনেক মানুষ। ক্রেতাসমাগমও ঘটে ব্যাপক। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। বছরের পর বছর ধরে এ অবস্থা চলে আসছে সৈয়দপুরে। রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী রোস্তম আলী জানান, রেলওয়ে আইনে রেললাইনের দুই পাশে অন্তত ২০ ফুট করে জায়গা ফাঁকা রাখার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী, সৈয়দপুর রেল কর্তৃপক্ষ উভয় পাশে পর্যাপ্ত জায়গা রেখে সীমানা নির্ধারণ করে বেড়া দিয়ে রেখেছে। ওই বেড়া অতিক্রম করে রেলক্রসিং এলাকার দুই পাশে আধা কিলোমিটার জায়গা জুড়ে রেলপথ দখল করে গড়ে উঠেছে শতাধিক পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকান। এর বেশির ভাগই বসছে রেললাইনের ওপর। এ এলাকায় মানুষের ভিড়ের কারণে ট্রেন চলাচলে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া ওই স্থানে প্রায়ই ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। এসব দোকান উচ্ছেদে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন নাগরিকদের অনেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেললাইনের ওপর কাপড়ের এক দোকানদার বলেন, ‘রেললাইনের ওপর দোকান সাজানো ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরও অনেকে দোকান করছেন। তাই আমি করেছি।’ তিনি জানান বাজারে একটি দোকানের প্রতি মাসের ভাড়া ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর এখানে রেলওয়ের লোককে দৈনিক ৫০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। তবে কারা চাঁদা তোলেন তা প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনিসহ অন্যান্য দোকানদাররা।

রেললাইনের ওই স্থানে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকির কথা জানালেন লোকোমাস্টার (ট্রেন চালক) আসাদুজ্জামান খান সবুজ। তিনি

বলেন, ‘সৈয়দপুর স্টেশনের ৫শ গজ দূরে হোম সিগন্যালের কাছে রেললাইনের ওপর অবৈধ বাজার গড়ে উঠেছে। ট্রেন এখানে এলেই আমাদের সতর্ক হতে হয়। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে বাধ্য হয়ে ট্রেনের গতি কমাতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়।’

সৈয়দপুর রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশনমাস্টার শওকত আলী বলেন, চালকেরা ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ওই স্থান থেকে দোকানপাট উচ্ছেদের কথা বলেছেন। ট্রেন চলাচলের সুবিধা নিশ্চিত ও দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা ভেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান থেকে আমাদের কেউ চাঁদা তোলে না। যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।’

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বিশ্বাস জানান, রেললাইনের ওপর পুরোনো কাপড়ের বাজার বসায় ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। চাঁদা নিয়ে অবৈধ দোকান বসানোর সঙ্গে রেলওয়ে পুলিশের কেউ জড়িত নন বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ